যুগচাহিদার সহজলভ্যতায় আমরা হয়ে উঠেছি জীবনের প্রতি কঠোর অবিচারী।সময়ের পালাবদলে উপনীত হয়েছি শেষ জমানার কালো গহ্বরের কিনারে।অতলান্তিক অন্ধকারের মহাকর্ষ বল সবাইকে টেনে ধরেছে। মানবতা আজ সংকটাপন্ন। এর থেকে বাঁচার একটি উপায় :উজ্জীবিত প্রাণে রাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা, তার সুন্নতের অমিয়ধারায় আপ্লুত হয়ে জীবন পুণ্য করা। রাসুলের সুন্নত মানবতার জীবনচাবি—যার থেকে পাওয়া […]
দেখুন, বান্দা যখন তওবা করে ফিরে অসে তখন আল্লাহ শুধু ক্ষমাই করেন না, বরং ক্ষমার জন্য বাহানা তৈরি করেন। বনী ইসরাঈলের নিরানব্বই হত্যাকারীর ঘটনা অনেকেরই জানা। সে তওবা করে ফিরে এল এবং নেককারদের এলাকার দিকে রওয়ানা হল। পথিমধ্যে যখন তার মৃত্যুক্ষণ ঘনিয়ে এল তখন রহমত ও আযাবের ফিরিশতা এল এবং প্রত্যেকে তার জান কবয করতে […]
পাপের বোঝায় ন্যুব্জ কোনো বান্দা মনে করতে পারে- আমার গোনাহ তো অনেক বেশি; কয়েক পৃথিবী পূর্ণ হয়ে যাবে আমার পাপ দ্বারা। মদ, যিনা, হত্যা, লুণ্ঠন কোন পাপ নেই যা আমি করিনি; জীবনটাই কেটেছে পাপের মাঝে। এখন আর তওবা করে কী হবে? তাছাড়া আমার মত পাপীকে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন! তো এমন পাপীর জন্যও আল্লাহ ক্ষমার […]
ইসলাম )الْإِسْلَامُ( ও ঈমান )اَلْإِيْمَانُ( শব্দদ্বয় যখন সাধারণভাবে নিঃশর্ত ও কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা থেকে মুক্ত হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন উভয়টি সমার্থবোধক। আর যখন একত্রে তথা সম্পৃক্ততা অথবা শর্তযুক্তভাবে ব্যবহৃত হয়, তখন উভয়টি ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রদান করে। তখন ইসলাম হবে বাহ্যিক কথা ও কাজ সমষ্টির নাম। আর ঈমান হবে অভ্যন্তরীণ আকীদা-বিশ্বাস ও কর্মসমূহের নাম। আর […]
ফরয ও নফলের দুটি দিক রয়েছে। পালন ও বর্জন। কিছু কাজ করা যেমন ফরয, তেমনি কিছু জিনিস বর্জন করাও ফরয। আল্লাহর নৈকট্যের পথে কর্মের চেয়ে বর্জনের গুরুত্ব বেশি। যে ব্যক্তি (তার উপরে) ফরয কোনো কর্ম পালন করছেন না বা (তার জন্য) হারাম কোনো কাজে রত রয়েছেন অথচ বিভিন্ন নফল মুস্তাহাব কর্ম পালন করছেন তার কাজ […]
ওযু শেষ করে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দুআ পড়তেন। দুআটা একেবারেই সহজ। এর সওয়াবও অনেক বেশি। ওযু শেষ করে যে এই দুআ পড়বে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। ইচ্ছা অনুযায়ী সে যে কোনো দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। তুমি তো জান্নাতে যেতে চাও, তাই না? জান্নাতে […]