তওবা: পাপ থেকে ফিরে আসার পথ ইসলামে তওবা একটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, যা মানুষের আত্মশুদ্ধি ও নতুনভাবে জীবন গঠনের একটি সুযোগ। আরবি শব্দ ‘তওবা’ অর্থ হলো পাপ থেকে ফিরে আসা। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃত তওবা মানে হলো অতীতের পাপের জন্য অন্তরে গভীর অনুশোচনা করা এবং ভবিষ্যতে সৎ পথে চলার […]
সুরা নিসা পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সুরা। “নিসা” শব্দের অর্থ স্ত্রীজাতি। এই সুরায় ২৪টি রুকু এবং ১৭৬টি আয়াত রয়েছে। এটি তৃতীয় হিজরিতে ওহুদ যুদ্ধের পর অবতীর্ণ হয়। সুরাটিতে উত্তরাধিকার, এতিমের অধিকার এবং নারীদের সম্পর্কিত বিভিন্ন বিধান বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। পঞ্চম হিজরিতে মুসতালিক যুদ্ধের সময় পানির অভাব দেখা দিলে তায়াম্মুমের আদেশ জারি করা হয়, যা এই সুরায় […]
পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ করা। বিশ্বের সব সৃষ্টির সেবা ও জনকল্যাণ কামনাই হলো ইসলামের অনুশীলন। নিজের যা কিছু আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অন্যের দিকে তাকিয়ে বিদ্বেষ পোষণ করে হিংসার আগুনে জ্বলেপুড়ে ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ নেই। অন্যের সুখ, শান্তি ও ধন–সম্পদ বিনষ্ট বা ধ্বংস করে নিজে এর মালিক হওয়ার বাসনাকে আরবিতে হাসাদ বা হিংসা […]
মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষের পার্থিব জীবন শেষ হয় এবং শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়—কবরের জীবন। কোরআন ও হাদিসে এই জগতকে ‘বারযাখ’ নামে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘বারযাখ’ একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হলো পর্দা, আবরণ বা ব্যবধান। মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সময়কে বারযাখের জীবন বলা হয়। এটি এমন এক অদৃশ্য জগত, যা পার্থিব জগত থেকে আলাদা […]
মা-বাবার কবরের পাশে গেলে মন বিষণ্ন হওয়া বা চোখ অশ্রুসিক্ত হওয়া স্বাভাবিক। তাই কবরের কাছে গিয়ে হা–হুতাশ করা ঠিক নয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর আম্মার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে ক্রন্দন করেন। তাঁর সঙ্গীসাথীরাও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। তারপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি আমার রবের কাছে আমার মায়ের কবর জিয়ারত করার […]
হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বরাতে এই হাদিসের বর্ণনা আছে। তিনি নবী (সা.)-এর কাছে নিচের ঘটনাটি শুনেছেন। কিয়ামতের দিন প্রথম যার বিচার হবে, সে একজন শহীদ। তাকে আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে। আল্লাহ তাকে তাঁর দেওয়া নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন। সে তা স্মরণ করবে। এর পর আল্লাহ বলবেন, ওই নিয়ামতের বিনিময়ে তুমি কী আমল করে […]