নবীজির শিক্ষা

নবীজির শিক্ষা

খাবারের মান যা-ই হোক না কেন, মেজবানের আন্তরিকতাটুকু হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করা মেহমানের জন্যে জরুরি।

এটা মেজবানের অধিকার।

আপ্যায়ন যদি সাধারণ খাবার দিয়েও হয়, কিন্তু তাতে যদি মেজবানের সাধ্যমতো আন্তরিকতার মিশেল থাকে তাহলে এটাও অনেক তৃপ্তিকর। পারস্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধির জন্যে এ বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন-

لَوْ دُعِيتُ إِلَى ذِرَاعٍ أَوْ كُرَاعٍ لَأَجَبْتُ

আমাকে যদি বকরির (সামনের) রানের গোশত খেতে আমন্ত্রণ জানানো হয় কিংবা এর পায়ের হাড় খেতে, আমি উভয় দাওয়াতই গ্রহণ করব। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৫৬৮

খাসির সামনের রানের গোশত খুবই সুস্বাদু এবং তৃপ্তিদায়ক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তা পছন্দ করতেন। আর পশুর পায়ের নিচের দিকের চিকন হাড়টি কোনো ভালো মানের খাবার নয়।

কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে খাবারের এসব ভালো-মন্দের মধ্যে কোনো ফারাক করেননি। তিনি বলেছেন, আমাকে যে খাবারের জন্যেই আমন্ত্রণ জানানো হোক, মানসম্মত ভালো খাবার হোক কিংবা অতি সাধারণ কিছু হোক, আমি সে আমন্ত্রণ রক্ষা করব।

আন্তরিকতার এ মূল্যায়নটুকু মেজবানের পাওনা ও অধিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *