যে পানি খেলে খাবার খেতে হয়না।

হযরত আবু যর গিফারি রা. ইসলাম গ্রহণের পূর্বে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সত্যতা যাচাই করার জন্য মক্কা এসে ত্রিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান করেন।
এ পুরোটা সময় তিনি শুধু যমযম পান করে কাটিয়েছেন। (দীর্ঘ হাদীসের একাংশে) আবু যর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন।
এরপর তিনি ও তার সাথী তাওয়াফ করে নামায আদায় করেন।
নবীজী নামায শেষ করলে আমি তাকে সালাম দিই। নবীজী জিজ্ঞাসা করেন, কে তুমি?
: গিফার বংশের লোক আমি।
: কোথায় ছিলে?
: ত্রিশ দিন পর্যন্ত এখানেই ছিলাম।
: কে তোমাকে খাবার খাইয়েছে।
: উত্তরে তিনি বললেন-
مَا كَانَ لِي طَعَامٌ إِلّا مَاءُ زَمْزَمَ فَسَمِنْتُ حَتّى تَكَسَّرَتْ عُكَنُ بَطْنِي، وَمَا أَجِدُ عَلَى كَبِدِي سُخْفَةَ جُوعٍ.
যমযম ছাড়া আমার আর কোনো খাবার ছিল না। শুধু এ পানি পান করেই দিন কাটিয়েছি। এমনকি মোটা হয়ে গেছি। (এ দীর্ঘ সময়ে) আমি কখনো ক্ষুধা অনুভব করিনি।
নবীজী তখন বলেন-
إِنّهَا مُبَارَكَةٌ، إِنّهَا طَعَامُ طُعْمٍ
এটা বরকতময় পানি। এতে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য। (দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৪৭৩)
ইমাম ইবনুল কায়্যিম রাহ. বলেন, আমি এমন মানুষও দেখেছি, যিনি অর্ধ মাস কিংবা তারও বেশি সময় শুধু যমযম পান করেই কাটিয়েছেন। কখনো ক্ষুধা অনুভব করেননি। অন্যান্যদের সাথে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাওয়াফ করতেন। তিনি আমায় বলেছেন, একবার তো শুধু যমযম পান করেই চল্লিশ দিন কাটিয়েছেন। -যাদুল মাআদ ৪/৩৯৩
মানুষ জীবন বাঁচানোর তাগিদে খাদ্য গ্রহণ করে। খাবারের মাধ্যমে দেহে শক্তি সঞ্চার হয়। কর্মপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। জীবনের পথে মানুষ এগিয়ে চলে। খাদ্যের এই বৈশিষ্ট্য আল্লাহ তাআলা যমযম পানির মধ্যেও রেখেছেন। যমযম পান করেও ক্ষুধা নিবারণ হয়। মানুষ কর্মশক্তি লাভ করে।
Leave a Reply