মুমিনের এক মহৎ গুণ

দুনিয়াতেই যারা জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে ধন্য হয়েছিলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রা. তাঁদের অন্যতম।
ছিলেন ইহুদীদের ধর্মগুরু। মেধা ও প্রতিভা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় ওই মহলে তাঁর ব্যক্তিত্ব ছিল সর্বজনস্বীকৃত। খ্যাতি ছিল তুঙ্গস্পর্শী। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটিও জগতজোড়া মশহুর।
নবুওতের সত্যাসত্য যাচাইয়ের জন্য নবীজীর খেদমতে নিবেদন করেছিলেন তিনটি প্রশ্ন। নবীজী তাঁর নবীসুলভ ঐশী জওয়াব দিয়ে পরিতৃপ্ত করে দিলেন ইবনে সালামের অনুসন্ধিৎসু হৃদয়কে।
ঈমানের ঢেউ খেলে গেল ইবনে সালামের হৃদয়-আত্মায়। হকের পিপাসু এই ইহুদী ধর্মগুরুর আর তর সইল না। ঈমানদীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা দিয়ে দিলেন ‘আশহাদু আন্নাকা রাসূলুল্লাহ’-সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয় আপনি আল্লাহ্র রাসূল।
(দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৩২৯; সিয়ারু আলামিন নুবালা ৪/৬৬)
সত্যকে সমর্পিতচিত্তে গ্রহণ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। সত্যের সামনে সমর্পিত হওয়ার দ্বারা-ই তো মুমিন ‘মুমিন’ হয়।
তার অস্তিত্ব-ই বিকশিত হয় এ স্বীকারোক্তির মাধ্যমে যে, মিথ্যা ও শিরক বর্জন করেছি, সত্য ও তাওহীদকে গ্রহণ করেছি। তাওহীদের কালিমা- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’রও দাবি- শিরকের মলিনতা ঝেড়ে তাওহীদের আলোয় আলোকিত হওয়া।
মিথ্যা ও বাতিলকে অগ্রাহ্য করে সত্যের সামনে নতশীর হওয়া। দ্বীনী কোনো বিষয়ে যখন-ই সত্য উদ্ভাসিত হয়, কায়মনোবাক্যে তা গ্রহণ করা, সর্বান্তকরণে সত্যের অনুগত থাকা।
Leave a Reply