আপনার নামায কেমন হচ্ছে?

একবার নবীজী মসজিদে নববীতে প্রবেশ করলেন। নবীজী মসজিদে প্রবেশের পর এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল। সে খুব তাড়াহুড়া করে নামায পড়ল। নবীজী তার নামায পড়া দেখলেন। নামায শেষে সে নবীজীর কাছে এল এবং সালাম দিল।
নবীজী তার সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেন, যাও, আবার নামায পড়, তুমি নামায পড়নি!
সে আবার নামায পড়ল এবং নবীজীর কাছে এল। নবীজী এবারও বললেন, যাও, আবার নামায পড়, তুমি নামায পড়নি! সে আবার নামায পড়ল; কিন্তু তৃতীয়বারেও নবীজী তাকে আবার নামায পড়তে বললেন। (কারণ সে খুব তাড়াহুড়া করে নামায পড়ছিল।)
এরপর, ঐ সাহাবী নবীজীকে বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমি এর চেয়ে সুন্দর করে নামায পড়তে পারি না; আমাকে শিখিয়ে দিন- কীভাবে নামায পড়তে হয়।
তখন নবীজী বললেন-
إِذَا قُمْتَ إِلَى الصّلاَةِ فَكَبِّرْ، ثُمّ اقْرَأْ مَا تَيَسّرَ مَعَكَ مِنَ القُرْآنِ، ثُمّ ارْكَعْ حَتّى تَطْمَئِنّ رَاكِعًا، ثُمّ ارْفَعْ حَتّى تَعْدِلَ قَائِمًا، ثُمّ اسْجُدْ حَتّى تَطْمَئِنّ سَاجِدًا، ثُمّ ارْفَعْ حَتّى تَطْمَئِنّ جَالِسًا، وَافْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا.
যখন তুমি নামাযে দাঁড়াবে, আল্লাহু আকবার বলে নামায শুরু করবে।… এরপর ধীরেসুস্থে রুকু করবে (ধীরে ধীরে সুন্দর করে রুকুর তাসবীহ পড়বে)। রুকু থেকে ধীরেসুস্থে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবে (সুন্দরভাবে রব্বানা লাকাল হাম্দ বলবে)। এরপর ধীরেসুস্থে সিজদা করবে (সুন্দর করে ধীরে ধীরে সিজদার তাসবীহ পড়বে)। এরপর ধীরেসুস্থে সিজদা থেকে উঠে সোজা হয়ে বসবে। এভাবে পুরো নামায ধীরেসুস্থে আদায় করবে। (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ৭৫৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৯৭)
প্রাপ্ত জ্ঞান: নামাযে তাড়াহুড়ো করা যাবে না; বরং খুশু খুজুর সাথে আসতে ধীরে পড়তে হবে।
আল্লাহ আমাদের নামাযকে কবুল করুন।
Leave a Reply