যে কারো ঘরে প্রবেশের আদব।

এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যখন আমার মায়ের কাছে যাই, তখনো কি আমাকে অনুমতি নিতে হবে?
তিনি উত্তর দিলেন : হাঁ, নিতে হবে।
লোকটি বলল, আমি ঘরে তার সঙ্গেই থাকি। তবুও আমাকে অনুমতি নিতে হবে?
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যাবে।
লোকটি এবার বলল, আমি যে তার সেবাযত্নও করে থাকি!
এরপর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তবুও তুমি অনুমতি নাও। তুমি কি তাকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে চাও?
সে বলল, না।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে অনুমতি নাও। -মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস ১৭২৯
নিজের ঘরে কে কখন কোন্ অবস্থায় থাকে- তা তো বাইরে থেকে বলা যাবে না। তাই অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে আগে, যেন অপ্রস্তুত কোনো অবস্থায় মেজবান-মেহমান কাউকেই বিব্রত হতে না হয়।
অনুমতি নেয়ার পদ্ধতি কী হবে- উপরের আয়াতে তা-ও বলে দেয়া হয়েছে। নিয়ম হচ্ছে, বাইরে থেকেই সালাম দেবে। এ সালামটাই অনুমতি প্রার্থনা। যদি মনে হয়, ভেতরে সালামের আওয়াজ পৌঁছবে না, তবে করাঘাত করবে। কলিংবেল থাকলে তাও টেপা যেতে পারে। এরপর কেউ সামনে এলে তাকে সালাম দেবে।
এ হচ্ছে অনুমতি প্রার্থনা প্রসঙ্গ। অনুমতি চাওয়ার পর যদি অনুমতি দেয়া না হয়, কিংবা সালামের কোনো উত্তরই না আসে, তবে ফিরে যেতে হবে সেখান থেকে। ভেতরে কেউ নেই ভেবে অন্য কারও থাকার ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশের সুযোগ নেই। এমন তো হতেই পারে- ঘরে কেউ আছে, কিন্তু সে বাইরের কারও আওয়াজ শুনছে না কিংবা কাউকে তখন সে অনুমতি দিতে চাইছে না। তাই যদি ঘরে প্রবেশের অনুমতি না আসে কিংবা ফিরে যেতে বলা হয়, তখন প্রসন্ন মনেই ফিরে যেতে হবে।
Leave a Reply