ছাত্রদের প্রতি থানভী রাহ.-এর বিশেষ নসীহত

ছাত্রদের প্রতি থানভী রাহ.-এর বিশেষ নসীহত

হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাহ. নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে তালিবে ইলমদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি নসীহত করতেন। তিনি বলতেন, ‘ব্যস তোমরা তিনটি কাজ নিজেদের জন্য আবশ্যক করে নাও। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি, তোমাদের ইলমী ইসতিদাদ হাসিল হয়ে যাবে (ইনশাআল্লাহ)।

১. দরসের আগে অবশ্যই সামনের সবক (পড়া) মুতালাআ (দেখে যাবে) করবে। এটা কোনো কঠিন কাজ নয়। কারণ এই মুতালাআর উদ্দেশ্য কেবল এটুকু যে,

‌معلومات اور مجہولات متميز ہو جائيں.

জানা আর অজানা বিষয় চিহ্নিত হয়ে যাওয়া। (অর্থাৎ কতটুকু বুঝেছি আর কতটুকু বুঝিনি এটা চিহ্নিত হয়ে যাওয়া।) ব্যস, এর বেশি (আপাতত) দরকার নেই।

২. এরপর দরসে উস্তাযের নিকট সবক (পড়া) ভালোভাবে বুঝে পড়বে। (বিশেষভাবে লক্ষ রাখবে, মুতালাআর সময় যা বুঝেছিলাম তা সঠিক ছিল কি না। আর যে অংশ বুঝিনি তা খুব ভালো করে শুনব, যাতে এখন বুঝে নিতে পারি।) তখন যদি উস্তাযের মন প্রস্তুত না থাকে এবং জিজ্ঞেস করলে বিরক্ত হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে অন্যসময় বুঝে নেবে।

৩. দরসের পর পুরো সবকের (পড়ার) সারকথা তাকরার করে নেবে। কোনো সাথী না পেলে নিজের সঙ্গে নিজে তাকরার করবে।

এই তিন কাজ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়মিত করতে পারলে নিশ্চিন্ত হয়ে যাও। পেছনের পড়া মনে আছে কি না- এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না। ইনশাআল্লাহ অবশ্যই ইসতিদাদ হয়ে যাবে।

এই তিন কাজ তো ওয়াজিব পর্যায়ের। আরেকটি কাজ আছে মুস্তাহাব পর্যায়ের। প্রতিদিন ‘আমুুখতা’ অর্থাৎ পেছনের কিছু পড়া দোহরাবে।’ -আশরাফুস সাওয়ানেহ, খ. ১, পৃ. ৫০-৫১; খুতুবাতে হাকীমুল উম্মত, খ. ২৫, পৃ. ৫২ (হুদূদ ওয়া কুয়ূদ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *