আযান শুনে যে বলবে…

আযান।
আল্লাহর ঘরের মিনার থেকে আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষণা। তাওহীদ ও রিসালাতের সুউচ্চ আওয়ায। আল্লাহর দিকে আহ্বান। সালাতের দিকে আহ্বান। চির কামিয়াবির দিকে আহ্বান।
মুমিন আরাম নিদ্রায় থাক কিংবা থাক কর্মব্যস্ত- এ আহ্বান মুমিনকে জাগ্রত করে, এ আহ্বান মুমিনকে সচকিত করে; আরামের কম্বল থেকে বেরিয়ে আসে মুমিন, মাথার উপর উঁচু হওয়া কুঠার পিছনেই ছেড়ে দেয়। কারণ, এ যে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দেওয়ার আহ্বান- হাইয়া আলাস সালা-হ, হাইয়া আলাল ফালা-হ।
শত ব্যস্ততার মাঝেও মুমিন আযানের জবাব দেয়। আযান শেষে নবীজীর উপর দরূদ পাঠ করে, দুআ পড়ে এবং আল্লাহর ঘরে উপস্থিত হয়ে জামাতে নামাযের মাধ্যমে এ আহ্বানের দাবি পূরণ করে।
আযানের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে, তাওহীদ ও রিসালাতের ঘোষণা। তাওহীদের ঘোষণার মাধ্যমেই শেষ হয় আযান- লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ। তো তাওহীদ ও রিসালাতের ঘোষণা শোনার পর মুমিনও যদি তাওহীদ ও রিসালাতের স্বীকারোক্তিমূলক নিম্নোক্ত বাক্যগুলো বলে, আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন।
সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنّ مُحَمّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللهِ رَبّا وَبِمُحَمّدٍ رَسُولًا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ.
আযান শুনে যে ব্যক্তি বলবে-
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنّ مُحَمّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.
رَضِيتُ بِاللهِ رَبّا وَبِمُحَمّدٍ رَسُولًا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا.
(আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
আমি আল্লাহকে রব হিসাবে পেয়ে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসাবে পেয়ে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট।) তার (সগীরা) গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮৬
Leave a Reply