ফিতনার যুগে ঈমান দুর্বল হওয়া নিয়ে শঙ্কা?

কিছু কার্যকর অভ্যাস, যা ঈমান অবিচল রাখতে সাহায্য করবে!
আমরা সবাই নিজেদের ঈমানদার দাবি করি, তবে ঈমানদার দাবি করার চেয়ে বড় কঠিন কাজ ঈমানের ওপর অবিচল থাকা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘যারা বলে- আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর (সে কথার ওপর) সুদৃঢ় থাকে, ফেরেশতারা তাদের কাছে অবতীর্ণ হয় আর বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না, আর জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করো যার ওয়াদা তোমাদের দেওয়া হয়েছে।’ (সুরা ফুসসিলাত : ৩০)
তেমনি রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহর বান্দারা! স্থির থাকো।’ (মুসলিম) এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে বলল, আমাকে এমন কথা বলে দিন যে, আপনার পর যেন আমার অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন না হয়। তখন রাসুল (সা.) তাকে বললেন, ‘তুমি বলো, আমি আল্লাহর ওপর ঈমান আনলাম। অতঃপর তারই উপর অবিচল থাকো।’ (মুসলিম)
ঈমানে অবিচল থাকার জন্য কোরআন-সুন্নাহে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ আমরা তেমন ১০টি নির্দেশনা তুলে ধরছি পাঠকদের জন্য-
১. ফরজ ইবাদত যথাসময়ে আদায় করা।
২. নিয়মিত নফল সালাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) আদায় করা।
৩. বিতর নামাজ কখনো বাদ না দেওয়া, অন্তত একটি রাকাত হলেও পড়া।
৪. নফল ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া, বিশেষত নফল রোজা রাখা এবং দান-সদকা করা।
৫. কোরআন তিলাওয়াতের পরিমাণ বাড়ানো, প্রতিদিন অন্তত একপারা তিলাওয়াত করা।
৬. অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার করা, দিনে অন্তত ১০০ বার বা তার বেশি।
৭. আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকা, বিশেষত সকালে ও সন্ধ্যায় এবং সালাতের পরের জিকিরগুলো পড়া।
৮. অন্যের উপকার করা এবং সাধ্যমতো ভালো কাজ করা।
৯. সৎ ও নেক সঙ্গী বা মজলিসে থাকা, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই সঙ্গ লালন করা।
১০. প্রতিদিন আল্লাহর কাছে হিদায়াত, দৃঢ়তা, সুস্থতা এবং সফলতার জন্য দোয়া করা। বিশেষ করে দোয়া কবুলের সময়গুলোকে কাজে লাগানো, যেমন- আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়, সিজদার সময়, সালামের আগে দোয়া এবং রাতের গভীর অংশে।
Leave a Reply