জ্বিলহজ্ব মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমুহ

জ্বিলহজ্ব মাস ইসলামের বার মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসের প্রথম দশ দিন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ এবং আমলের জন্য সুপারিশকৃত। নিচে জ্বিলহজ্ব মাসের কিছু গুরুত্বপুর্ণ আমল উল্লেখ করা হলো:
- রোজা রাখা:
- জ্বিলহজ্ব মাসের প্রথম নয় দিনের রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। বিশেষ করে আরাফার দিন (৯ই জ্বিলহজ্ব) রোজা রাখা সুন্নত, যা বিগত এক বছরের এবং আসন্ন এক বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গণ্য হয়।
- তাহলীল, তাহমীদ, তাকবীর এবং তাহলীল পড়া:
- প্রথম দশ দিনে “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ” এ তাকবীর বলা সুপারিশ করা হয়েছে।
- হজ এবং ওমরা পালন:
- জ্বিলহজ্ব মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো হজ পালন করা। যারা হজে যান না, তারা নিজেদের ঘরে নফল ইবাদত, রোজা রাখা, এবং অন্যান্য নেক আমল করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারেন।
- কোরবানি করা:
- ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানি করা অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। যারা সামর্থ্যবান, তাদের উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
- ইবাদত-বন্দেগি ও তওবা:
- এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা এবং তওবা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং তার নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
- সদকা এবং খয়রাত:
- এই মাসে দান-খয়রাত করা উত্তম আমল। গরীব-দুঃখী ও অসহায়দের সাহায্য করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের খয়রাত করা উচিত।
- কুরআন তিলাওয়াত:
- কুরআন তিলাওয়াত করা এবং এর উপর আমল করা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ।
এই আমলগুলো জ্বিলহজ্ব মাসে পালন করলে একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে এবং আখিরাতে নিজেকে মুক্তির পথে ধাবিত করতে পারে।
Leave a Reply