যেসব কারণে হজ্ব কবুল হয়না

হজ্ব কবুল না হওয়ার কিছু কারণ:
নিয়তের ত্রুটি:
- খাঁটি নিয়তের অভাব: যদি হজ্ব আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে, যেমন খ্যাতি, সম্মান, বা অর্থ লাভের জন্য করা হয়, তাহলে তা কবুল হবে না।
- শর্ত পূরণ না করা: যদি হজ্বের শর্তাবলী, যেমন ইসলাম গ্রহণ, ঋণ পরিশোধ, পূর্ণ বয়স্ক হওয়া, ইত্যাদি পূরণ না করা হয়, তাহলে তা কবুল হবে না।
আচরণে ত্রুটি:
- বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন: যদি হজ্বের সময় কোন বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করা হয়, যেমন ঝগড়া করা, গীবত করা, বা অন্যায় আচরণ করা, তাহলে তা কবুল হবে না।
- অহংকার : যদি হজ্বকারী অহংকারী বা অহংকারী হয়, তাহলে তার হজ্ব কবুল হবে না।
- বিভ্রান্তি ও অমনোযোগ: যদি হজ্বকারী বিভ্রান্ত বা অমনোযোগী হয়, এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ মনোযোগ না দেয়, তাহলে তার হজ্ব কবুল হবে না।
অন্যান্য কারণ:
- অপবিত্রতা: যদি হজ্বকারী অপবিত্র অবস্থায় হজ্ব শুরু করে, তাহলে তার হজ্ব কবুল হবে না।
- হারাম সম্পদ থেকে অর্থায়ন: যদি হজ্ব হারাম সম্পদ থেকে অর্থায়নের মাধ্যমে করা হয়, তাহলে তা কবুল হবে না।
- অন্যের অধিকার লঙ্ঘন: যদি হজ্বকারী অন্যের অধিকার লঙ্ঘন করে, যেমন ঋণ পরিশোধ না করে, তাহলে তার হজ্ব কবুল হবে না।
কবুল হজ্বের কিছু আলামত:
- হজ্বের পর পাপ থেকে বিরত থাকা: যদি হজ্বকারী হজ্বের পর পাপ থেকে বিরত থাকে, তাহলে এটি তার হজ্ব কবুল হওয়ার একটি লক্ষণ।
- ইমান ও আমলে দৃঢ়তা বৃদ্ধি: যদি হজ্বকারীর ইমান ও আমলে দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি তার হজ্ব কবুল হওয়ার একটি লক্ষণ।
- দুনিয়ার প্রতি অনীহা ও আখেরাতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি: যদি হজ্বকারীর দুনিয়ার প্রতি অনীহা ও আখেরাতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি তার হজ্ব কবুল হওয়ার একটি লক্ষণ।
হজ্ব কবুল হওয়ার জন্য আন্তরিক নিয়ত, শরীয়া মেনে চলা এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ হজ্ব আদায় করা জরুরি। হজ্বকারীকে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে যে হজ্ব আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য, এবং এটি দুনিয়ার লাভের জন্য নয়।
মনে রাখবেন:
- এটি কেবলমাত্র সাধারণ নির্দেশিকা, এবং আরও অনেক কারণ থাকতে পারে যার ফলে হজ্ব কবুল নাও হতে পারে।
- হজ্ব সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, আপনার উচিত একজন বিশ্বস্ত আলেমের স্মরণাপন্ন হওয়া।
বিশেষ করে যারা হজ্বে যাবেন, হজ্ব কবুল না হওয়ার কারণগুলো থেকে দূরে থাকবেন এবং বেশি ইস্তেগফার করবেন।
Leave a Reply