আল্লাহর শানে ইহুদী জাতির বেয়াদবি

আল্লাহর শানে ইহুদী জাতির বেয়াদবি

যাকাতের বিধান নাযিল হওয়ার পর তারা ব্যঙ্গ করে বলেছিল-

اِنَّ اللهَ فَقِيْرٌ وَّ نَحْنُ اَغْنِيَآءُ .

আল্লাহ দরিদ্র আর আমরা ধনী।

আল্লাহ তাআলা তাদের এ চরম বেয়াদবির কোনো উত্তর না দিয়ে বরং শাস্তির সতর্কবাণী শুনিয়ে দিয়েছেন,

[তরজমা] আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলে, আল্লাহ গরীব এবং আমরা ধনী। তারা যা বলে আমি তা (তাদের আমলনামায়) লিখে রাখি এবং তারা নবীগণকে অন্যায়ভাবে যে হত্যা করেছে সেটাও। অতঃপর আমি বলব, জ¦লন্ত আগুনের স্বাদ গ্রহণ কর। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৮১

অবাধ্যতার কারণে আল্লাহ তাআলা কিছুদিন এদেরকে অর্থসংকটে নিক্ষেপ করলেন। এ অবস্থায় এদের তো উচিত ছিল আনুগত্য স্বীকার করা। তা না করে বরং তাদের নেতৃস্থানীয় কিছু লোক আল্লাহ তাআলার শানে চরম অশিষ্ট বাক্য উচ্চারণ করল। এমন বেয়াদবিমূলক কথা সম্ভবত পৃথিবীতে কেবল তারাই বলেছিল-

يَدُ اللهِ مَغْلُوْلَةٌ.

আল্লাহর হাত বাঁধা।

আরবীতে ‘হাত বাঁধা’ দ্বারা কৃপণতা বোঝানো হয়ে থাকে। তারা বলল, আল্লাহ তাআলা তাদের অর্থসংকটে ফেলে তাদের প্রতি কৃপণতা করছেন, নাউযুবিল্লাহ। অথচ এই ইহুদী জাতি সেই প্রাচীনকাল থেকেই বখিল ও কৃপণ বলে পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। আল্লাহ তাআলা বলছেন- বরং তারা নিজেরা কৃপণ এবং তাদের কথার কারণে তাদের ওপর লানত বর্ষণ করা হয়েছে। [দ্র. সূরা মায়িদা (৫) : ৬৪, তাফসীরে তাবারী; তাফসীরে কুরতুবী, আলোচ্য আয়াত]

আল্লাহর বিধান অমান্য করার কারণে বনী ইসরাইলকে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ দিন সিনাই মরুভূমিতে ছন্নছাড়া জীবন যাপন করিয়েছেন। সেখানে তাদের বিভিন্ন ধরনের কষ্ট হচ্ছিল, যদিও অনেক অলৌকিক নিআমতও তখন তাদের ওপর নাযিল করা হয়েছে। এ থেকে মুক্তি দিয়ে আল্লাহ তাআলা যখন তাদের বললেন, নতশির হয়ে অমুক জনপদে প্রবেশ করো আর বলো-

حِطَّةٌ نَّغْفِرْ لَكُمْ خَطٰيٰكُمْ.

আল্লাহ, আমরা ক্ষমা চাই, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন! {-সূরা বাকারা (২) : ৫৮-৫৯}

কিন্তু তারা আল্লাহর সঙ্গে মশকরা শুরু করে দিল। তারা স্লোগান দেওয়া শুরু করল-

حَبَّةٌ فِيْ شَعْرَةٍ.

গম চাই! গম চাই!! -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৬৪১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৪০৩

-মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ মাসুম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *