সচ্চরিত্রের গুরুত্ব ও ফজিলত

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন,
يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
যেদিন কোনো অর্থসম্পদ কাজে আসবে না এবং সন্তানসন্ততিও না। তবে যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে সুস্থ মন নিয়ে (সে মুক্তি পাবে)।
[সুরা শুআরা : ৮৮-৮৯]
বস্তুত সুস্থ মনের বহিঃপ্রকাশই উত্তম চরিত্র। এই উত্তম চরিত্রই মানবচরিত্রের প্রতিটি বাঁকে ঈমানি আভা বিকিরণ করে। ফলে মানুষের চরিত্র হয়ে ওঠে শরিয়তনির্ভর ও যাবতীয় সৌন্দর্যের প্রতিভূ।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমন হয়েছে উত্তম চরিত্রের পরিপূর্ণতা প্রদানের জন্য। তিনি উত্তম চরিত্রের যে বাস্তব দৃষ্টান্ত দাঁড় করিয়ে দেখিয়েছেন, তার সংস্পর্শ থেকে মানবজাতি আজ অনেক দূরে।
সচ্চরিত্রের প্রতি শরিয়ত যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে।
ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ করলে যেমন তা সহজেই শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে যায়, তেমনই সচ্চরিত্র নামের সজীব বৃক্ষটির কোমল পরশে মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র হয়ে ওঠে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল।
তাই উভয় জগতে সফলতা লাভের মানদণ্ড নিরূপণ করা হয়েছে সচ্চরিত্রকে। সচ্চরিত্রবান ব্যক্তিকে সর্বোত্তম মানুষ হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অশ্লীলভাষী ও অসদাচরণের অধিকারী ছিলেন না। তিনি বলতেন,
إِنَّ مِنْ خِيَارِكُم أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا.
তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে নৈতিকতায় সর্বোত্তম।
আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন, مَا شَيْءٌ أَثْقَلُ فِي مِيزَانِ الْمُؤْمِنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ خُلُقٍ حَسَنٍ. কেয়ামতদিবসে মুমিনের দাঁড়িপাল্লায় সচ্চরিত্র ও সদাচারের চেয়ে বেশি ওজনের আর কোনো জিনিস হবে না।
-সহিহ বুখারি, ৩৫৫৯, সুনানুত তিরমিজি, ২০০৩
বই: আখলাকে হাসানা
লেখক: উসতাজ হাসসান শামসি পাশা
Leave a Reply