পর্নাসক্তির আধ্যাত্মিক ক্ষতি

পর্নাসক্তি যখন তুঙ্গে থাকে, ব্যক্তিজীবনে আধ্যাত্মিকতার ভূমিকা তখন একেবারেই কমে যায়।
আসক্তির সাথে বেশিরভাগ লড়াইকারী ব্যক্তি তার আধ্যাত্মিক বিশ্বাস নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।
তারা চিন্তা করেন, আদৌ আল্লাহ কি তাদের ব্যাপারে ভাবেন? কেউ আবার আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করাকেই বন্ধ করে দেন। আবার এই শ্রেণির লোকেরা এতটাই লজ্জা ও অপরাধবোধে ভোগেন যে, ধর্মীয় ইবাদত থেকে নিজেকে একেবারেই দূরে সরিয়ে ফেলেন।
আর এই সরিয়ে ফেলার কারণে তাদের ভেতর আধ্যাত্মিক শূন্যতা ও হতাশার সৃষ্টি হয়, যা ব্যক্তিকে আবারও ওগুলোর দিকে বেশি মাত্রায় ধাবিত করে।
একই সাথে ব্যক্তির ভেতরের হতাশা, বিরক্তি, উৎকণ্ঠাসহ আরও অন্যান্য বাজে অনুভূতিকে প্রবলভাবে উসকে দেয়।
অথচ এই আসক্তির সাথে লড়াই করার জন্য প্রতিটি ব্যক্তিকেই স্রষ্টার সান্নিধ্যে ফিরে আসা জরুরি। কারণ, স্রষ্টার কাছে প্রত্যাবর্তনের পর তারা মনোদ্বন্দ্ব ও আসক্তির সাথে লড়াই করার এক অতিরিক্ত ক্ষমতা ও শক্তির সন্ধান পান। কিন্তু পর্নোগ্রাফি এই শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়।
বই : নীল বিষ
সংকলন ও সম্পাদনা: গার্ডিয়ান টিম
Leave a Reply