আসুন, হতাশাকে চিরবিদায় দিই

আপনি যদি নিজেকে হতাশার অন্ধকূপ থেকে রক্ষা করতে চান,
তাহলে আপনি নিজেই নিজেকে সহযোগিতা করুন।
হতাশাকে মেরে ফেলুন।
আপনার জীবনে হতাশা যেন কখনোই মূর্ত হয়ে না ওঠে। কারণ, শয়তানের অভীষ্ট লক্ষ্য ও সর্বোচ্চ কাঙ্ক্ষিত পরিকল্পনাই হলো——মানবহৃদয়কে হতাশায় নিমজ্জিত করে রাখা।
বলতে দ্বিধা নেই— শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে দ্রুত পরাজয়টি এভাবে আসে যে, শয়তান মানুষের হৃদয়ে হতাশার দ্রুতগামী প্রণালিকে প্রবাহিত করে দেয়।
হতাশা শয়তানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
এর মাধ্যমে শয়তান আপনার প্রতিরোধশক্তিকে ছিনিয়ে নেয়। আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিস্তেজ করে দেয়। আপনার চূড়ান্ত পতনের আগ পর্যন্ত শয়তান আপনার হৃদয়ে হতাশার প্রলেপ দিতেই থাকে!
এই হতাশার সংজ্ঞা দিয়েছেন আল্লামা মুনাওয়ি রাহিমাহুল্লাহু। তিনি বলেছেন-
القطع بأن الشيء لا يكون وهو ضد الرجاء اليأس.
হতাশা হলো আশার বিপরীত শব্দ। অর্থাৎ এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে নেওয়া যে, এটা কোনোভাবেই হবে না!”
হতাশার সংজ্ঞা ও বাস্তবতাকে আল্লামা ইজ্জুদ্দিন রাহিমাহুল্লাহ আরও চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি বলেছেন—
হতাশা হলো মহান আল্লাহর অসীম ও অন্তহীন প্রশস্ত দয়া ও ক্ষমাকে ছোট করে দেখা এবং মহান আল্লাহর সুবিশাল দানকে সংকীর্ণ করে ভাবা। নিঃসন্দেহে এটা অনেক বড় অপরাধ।
এ কারণে আশার বাণী ছড়িয়ে আছে ইসলামি আইনজ্ঞ ফকিহদের অজস্র বক্তব্য ও লেখাজোখাতে, যা আমাদেরকে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হতে দেয় না। কারণ, ইসলামি আইনে হতাশাকে ‘কবিরা গুনাহ’ সাব্যস্ত করা হয়েছে।
নাম : শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি
অনুবাদক: আহমাদুল্লাহ আল জামি
প্রকাশনী: : মুহাম্মদ পাবলিকেশন
Leave a Reply