ঘর থেকে ও দস্তরখান থেকে শয়তান তাড়াও

তুমি কি চাও তোমার ঘরে শয়তান রাত্রিযাপন করুক?
অথবা তোমার দস্তরখানে শয়তান তার চেলা-চামু-া নিয়ে বসে পড়–ক? না, তা হতে পারে না। শয়তানকে ঘরেই ঢুকতে দিব না; দস্তরখানে বসা তো ‘দূর কি বাত’। কী করলে শয়তানের জন্য তোমার ঘরের দরজা বন্ধ হবে এবং শয়তানটা তোমার দস্তরখানের ধারে-কাছেও আসতে পারবে না- নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শিখিয়েছেন।
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-
إِذَا دَخَلَ الرّجُلُ بَيْتَهُ، فَذَكَرَ اللهَ عِنْدَ دُخُولِه وَعِنْدَ طَعَامِه، قَالَ الشّيْطَانُ: لَا مَبِيتَ لَكُمْ، وَلَا عَشَاءَ، وَإِذَا دَخَلَ، فَلَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ دُخُولِهِ، قَالَ الشّيْطَانُ: أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ، وَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ طَعَامِه، قَالَ: أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ وَالْعَشَاءَ.
কেউ যখন ঘরে প্রবেশ করে এবং প্রবেশের সময় ও খাবারের সময় আল্লাহর নাম নেয় তখন শয়তান (তার চেলা-চামুণ্ডাদের) বলে, (তোরা অন্যখানে দেখ) এখানে তোদের রাত্রিযাপনের সুযোগ নেই, খাবারেরও ব্যবস্থা নেই। আর ব্যক্তি যদি ঘরে প্রবেশের সময় আল্লাহর নাম না নেয় তখন শয়তান (তার চেলা-চামুণ্ডাদের) বলে, এখানে তোমাদের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। আর খাবারের সময়ও যদি আল্লাহর নাম না নেয় তখন বলে, (এসো! তোমরা সবাই এখানে এসো!!) এখানে তোমাদের রাত্রিযাপন ও খাবার উভয় ব্যবস্থাই হয়েছে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০১৮
ঘরে ঢোকার সময় কোন্ দুআর মাধ্যমে আল্লাহর নাম নিতে হবে- নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের তা শিখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যখন কেউ ঘরে প্রবেশ করে সে যেন এই দুআ পড়ে-
اللّهُمّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ، وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ، بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكّلْنَا.
আল্লাহ! আমি তোমার কাছে চাই- কল্যাণপূর্ণ প্রবেশ, কল্যাণপূর্ণ প্রস্থান, আল্লাহ্র নামে প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্র নামেই বের হলাম এবং আল্লাহ্র উপরই ভরসা করলাম। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫০৯৬
এ তো গেল ঘরে প্রবেশের সময় আল্লাহ্র নাম নেয়া। আর খাবারের শুরুতে আল্লাহ্র নাম নেওয়ার জন্য বিসমিল্লাহ বললেই হয়ে গেল। সাথে সাথে এক্ষেত্রে নবীজী আমাদের আরেকটি দুআও শিখিয়েছেন, যাতে আল্লাহর নামের সাথে সাথে বরকতের দুআও রয়েছে।
Leave a Reply