রোজায় গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীর বিধান

গর্ভবতী নারী যদি রোজা রাখার কারণে তার কষ্ট না হয় এবং গর্ভস্থিত শিশুর ওপর প্রভাব না পড়ে, তা হলে তাকে রোজা রাখতে হবে। দুর্বল হলে রোজা রাখবে না। বরং গর্ভস্থিত শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে রোজা না রাখা তার জন্য ওয়াজিব। বরং প্রসবের পরে কাজা আদায় করে নেবে।
রোজা পালন করলে অনেক সময় শিশুকে দুধ পান করানোর সমস্যা দেখা দেয়। রোজার কারণে দুধ কম হলে বা শিশুর ক্ষতি হলে রোজা রাখবেন না। পরে কাজা আদায় করবেন, (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৫০; ফাতাওয়া দারুল উলুম, ৬/৪৭)
তিনটি জরুরি বিধান মনে রাখুন
১. কেবল আজ প্রসবব্যথা উঠতে পারে—এমন আশঙ্কায় রোজা ভাঙা পাপ। তাতে কাজার সঙ্গে কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া, ৪/৪৪২)
২. প্রসূতিকাল ৪০ দিন। এ-সময় তিনি রোজা রাখবেন না। যদি ৪০ দিন হওয়ার আগে পবিত্র হয়ে যান, তাহলে রোজা রাখবেন এবং নামাজের জন্য গোসল করে নেবেন। (আপকে মাসায়েল, ৩/২৭৮)
৩. দুধ পান করালে রোজা ভাঙে না, অজুও নষ্ট হয় না। (ফাতাওয়া দারুল উলুম, ৫/৪০৮)
Leave a Reply