বাংলাদেশে বন্যা: করণীয় ও সতর্কতা

নদীমাতৃক বাংলাদেশে পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, গোমতীসহ অসংখ্য নদী আছে, যা দেশের সমৃদ্ধির উৎস হলেও মাঝে মাঝে ভয়াবহ বন্যার কারণ হয়ে ওঠে। অতীতে ১৯৬৬, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৭ এবং ২০২২ সালের বন্যা বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য, যা প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়েছিল।
সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা পুর্ব সতর্কতা ছাড়াই হঠাত পানি ছেড়ে দিয়েছে। যার ফলে সর্বত্রই বন্যার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা প্রভৃতি অঞ্চলে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। চরাঞ্চলের কৃষকসহ সাধারণ মানুষ চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এবং বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
বন্যার সময় সর্বপ্রথম নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া উচিত। পরিবারসহ আশ্রয়কেন্দ্র বা উঁচু স্থানে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিতে হবে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র উঁচু স্থানে স্থানান্তর করা উচিত। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। পাশাপাশি, পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেমন খাবারের আগে এবং পরে হাত ধোয়া, পানির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা। বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা, সাপের কামড়, ও অন্যান্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বন্যায় নিরাপদ থাকতে এবং ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এসব সতর্কতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের সর্বস্তরের জনগণকে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে সব ধরণের সহযোগিতা নিয়ে আসার অনুরোধ রইলো।
Leave a Reply