আল্লাহর নৈকট্য লাভের পথে চলার অনুপ্রেরণা

আল্লাহর নৈকট্য লাভ প্রতিটি মুমিনের আকাঙ্ক্ষা, এবং কুরআনে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন ও নৈকট্য অন্বেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো এবং তাঁর নৈকট্য অন্বেষণ করো। আর তাঁর পথে জিহাদ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো’ (সূরা মায়িদাহ-৩৫)। ওসিলা, যার আভিধানিক অর্থ সংযোগ স্থাপন, এই নৈকট্যের মাধ্যম। জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরটির নামও ওসিলা, যা রাসূল সা: একমাত্র দাবি করতে পারেন। হাদিসে এসেছে, জান্নাতের একটি উচ্চ স্তরের নাম ওসিলা। এর ঊর্ধ্বে কোনো স্তর নেই। যে ব্যক্তি রাসূল সা: এর জন্য আল্লাহর কাছে ওসিলা প্রার্থনা করবে, সে রাসূলের সুপারিশের অধিকারী হবে।

কুরআনে ওসিলা অর্থ আল্লাহকে সন্তুষ্টকারী কাজের মাধ্যমে তার নৈকট্য অর্জন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যাদেরকে আহ্বান করে তাদের মধ্যে যারা নিকটতর তারাই তো তাদের রবের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে যে, কে কত নিকটতর হতে পারে, তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে’ (সূরা ইসরা-৫৭)। শরিয়তসম্মত ওসিলা যেমন আল্লাহর নাম, সৎকর্ম ও সৎ ব্যক্তির দোয়ার মাধ্যমে নৈকট্য লাভ করা যায়, যা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। যেমন: আল্লাহর সুন্দর নামগুলোর মাধ্যমে দোয়া করা, সৎকর্মের মাধ্যমে নৈকট্য লাভের চেষ্টা এবং সৎ ব্যক্তির দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য প্রার্থনা করা।

তবে নিষিদ্ধ ওসিলা যেমন মৃতদের আহ্বান করা বা কবরের সামনে ইবাদত করা, তা শিরকের অন্তর্ভুক্ত এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সঠিক পথ নয়। কবর ও মাজার সামনে রেখে ইবাদত বন্দেগি, কবরের ওপর সৌধ তৈরি করা এবং কবরে প্রদীপ ও গেলাফ দেওয়া প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা নিষিদ্ধ। এই প্রকার ওসিলা মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয় এবং বড় শিরকের দিকে নিয়ে যায়। তাই মুমিন মুসলিমদের উচিত সঠিক ওসিলা অবলম্বন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং নিষিদ্ধ ওসিলা থেকে বিরত থাকা। আল্লাহর নৈকট্য লাভের সঠিক পথ অবলম্বন করে নিষিদ্ধ পথ থেকে নিজেদের ও জাতিকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *