দ্রব্যমুল্যের দাম নিয়ে কারসাজি নিয়ে ইসলাম কি বলে?

ইসলামের দৃষ্টিতে দ্রব্যতুল্যের দাম নিয়ে কারসাজি করা, যাকে ঘশ বলা হয়, তা একটি জঘন্য অপরাধ এবং হারাম (অবৈধ) হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অনৈতিক কার্যকলাপ কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতিই করে না বরং সমগ্র সমাজের নীতিশাস্ত্র ও স্থিতিশীলতাকেও ক্ষুণ্ণ করে।

ঘশ এর বিভিন্ন রূপ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • প্রতারণামূলক উপস্থাপনা: বিক্রেতা জানাশোনাভাবে নকল পণ্যকে উচ্চমানের বলে বিক্রি করে।
  • মিথ্যা ওজন ব্যবহার: ক্রেতাকে কম পণ্য সরবরাহ করার জন্য ভুল ওজন ব্যবহার করা।
  • অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ: বাজারের ন্যায্য মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দাম নির্ধারণ করা।
  • কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি: পণ্যের অভাব তৈরি করে বাজারে দাম বৃদ্ধি করা।

ঘশ এর ফলে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, ক্রেতাদের ঠকানো হয় এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ঘটে। এটি আল্লাহর আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত করে এবং

ইসলামে ঘশ থেকে বিরত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে:

  • সততা ও ন্যায়পরায়ণতা: ব্যবসায়িক লেনদেনে সর্বদা সততা ও ন্যায়পরায়ণতার নীতি মেনে চলা।
  • আল্লাহর প্রতি ভয়: আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করার ভয় রাখা এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা।
  • সহানুভূতি: অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা না করা।
  • সামাজিক দায়িত্ব: সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া এবং অন্যদের কল্যাণের জন্য কাজ করা।

উপসংহারে, ইসলাম ব্যবসায়ে নীতিশাস্ত্র ও সততার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। ঘশ এর মতো অনৈতিক কার্যকলাপ কেবল ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয় বরং সমাজের সামগ্রিক কল্যাণের জন্যও ক্ষতিকর। মুসলিমদের উচিত ন্যায়বিচার, সততা ও সহানুভূতির নীতি মেনে চলে ঘশ থেকে বিরত থাকা এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে অবদান রাখা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *