পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে সৌভাগ্যবান ও দুর্ভাগা কারা?

ইসলামের দৃষ্টিতে সৌভাগ্যের ধারণা কেবলমাত্র দুনিয়াতে সম্পদ ও সুখের অধিকারী হওয়ার চেয়ে অনেক ব্যাপক। এর পরিবর্তে, এটি আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতা, পরকালে সফলতা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সাথে সম্পর্কিত। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য, মুসলমানদের আল্লাহর নির্দেশাবলী মেনে চলার এবং ন্যায়সঙ্গত ও নীতিবান জীবনযাপন করার আহ্বান জানানো হয়।

পবিত্র কুরআনে, সৌভাগ্যবানদের বর্ণনা করা হয়েছে এমন ব্যক্তি হিসাবে যারা:

  • আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে এবং তাঁর নির্দেশাবলী মেনে চলে।
  • ন্যায়সঙ্গত ও নীতিবান জীবনযাপন করে।
  • দরিদ্র ও অভাবীদের সাহায্য করে।
  • সৎ ও নিষ্ঠাবান হয়।
  • ক্ষমাশীল ও ধৈর্যশীল হয়।

অন্যদিকে, দুর্ভাগ্যবানদের বর্ণনা করা হয়েছে এমন ব্যক্তি হিসাবে যারা:

  • আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে না বা তাঁর নির্দেশাবলী মেনে চলে না।
  • অন্যায় ও অবিচার করে।
  • লোভী ও স্বার্থপর হয়।
  • মিথ্যাবাদী ও প্রতারণাকারী হয়।
  • ক্রোধী ও অস্থির হয়।

ইসলাম শিক্ষা দেয় যে, দুনিয়াতে আমাদের যেকোনো সম্পদ বা অবস্থান স্থায়ী নয়। মৃত্যুর পর, আমরা সকলেই আল্লাহর বিচারের মুখোমুখি হব। সেখানে, আমাদের আমলের ভিত্তিতে আমাদের বিচার করা হবে এবং আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্য নির্ধারণ করা হবে।

সুতরাং, একজন মুসলমানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করা এবং পরকালে সফলতার জন্য কাজ করা। এটি কেবলমাত্র আল্লাহর নির্দেশাবলী মেনে চলার এবং ন্যায়সঙ্গত ও নীতিবান জীবনযাপন করার মাধ্যমেই সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *