হিজাব-নিকাব নিছক একটি পোশাক নয়।

হিজাব-নিকাব আমাদের কাছে অতি পরিচিত দুটি শব্দ। শব্দদুটি মূলত আরবী শব্দ হলেও তা আমাদের ভাষার শব্দভাণ্ডারে পাকাপোক্ত স্থান করে নিয়েছে। এর স্থান বাংলাভাষী মুসলিমদের অন্তরের গভীরে। হিজাব-নিকাব স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন ইসলামী সংস্কৃতির অংশ।
মুসলিম নারীর মর্যাদা ও আভিজাত্যের প্রতিক। যুগ যুগ ধরে চলে আসা উম্মাহর মহীয়সী নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। সর্বোপরি তা কুরআন-সুন্নাহর পর্দার বিধান পালনের উত্তম উপায়। এসব কারণে মুসলিম-মানসে হিজাব-নিকাবের স্থান অত্যন্ত গভীরে।
এটি একটি পোশাকমাত্র না, এর সাথে জড়িয়ে আছে মুসলিম নারী-পুরুষের ধর্মীয় আবেগ, মহান আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের পবিত্র প্রেরণা, উন্নত ও নির্মল ঐতিহ্যের অনুসরণ, সংযম, সচ্চরিত্র ও লজ্জাশীলতার মতো উন্নত চারিত্রিক গুণাবলির অনুশীলন।
এইসব জিনিসের গুরুত্ব উপলব্ধি করার মতো জ্ঞানগত ও চিন্তাগত যোগ্যতা যাদের আছে, তারা হিজাব-নিকাবের গুরুত্বও উপলব্ধি করতে পারবেন।
মানুষ প্রকৃত মানুষ তখনই হতে পারে, যখন সে আল্লাহ তাআলার আনুগত্য অবলম্বন করে। কুরআন-সুন্নাহর মাধ্যমে যেসব বিধান আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে তার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তা আল্লাহ-প্রদত্ত। এর প্রভাবও অত্যন্ত গভীর। এর সাথে মানুষের আবেগ-অনুভূতিও অত্যন্ত গভীরভাবে জড়িত।
একারণে কুরআন-সুন্নাহর বিধানের ব্যাপারে সর্বস্তরে গভীর সচেতনতা প্রয়োজন। সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা, আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে এই বাস্তবতা স্মরণ রাখা খুবই প্রয়োজন। হিজাব-নিকাব যেহেতু কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান, তাই এ বিষয়ে যে কোনো অবমাননাকর উক্তি বা আচরণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শান্তির জন্যই বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন।
পর্দা বিষয় বই দেখুন: Click Here
Leave a Reply