ইলম যখন উপকারী হয়।

ইলম তখনই নাফে’ (উপকারি), ফলপ্রসূ ও পরিপূর্ণ সাব্যস্ত হয় যখন তার সঙ্গে যুক্ত হয় আমল, উত্তম আদাব ও আখলাক। সালাফের নারীগণ এ বিষয়েও ছিলেন যত্নবান।
ইমাম সুফিয়ান ছাওরী রাহ. এর আম্মাজান তাঁকে বলতেন—
يا بني، إذا كتبت عشرة أحاديث فانظر هل ترى في نفسك زيادة في مشيتك وحلمك ووقارك، فإن لم تر ذلك فاعلم أنه يضرك ولا ينفعك.
দেখো বাবা, যখন তুমি ১০টি হাদীস শিখবে, দেখবে যে তোমার চালচলন, সহনশীলতা ও গাম্ভীর্যে কোনো উন্নতি আসছে কিনা। যদি এমনটা অনুভব না করো তাহলে জেনে রেখো এ ইলমে তোমার কোনো লাভ নেই। —তারীখে জুরজান পৃষ্ঠা : ৪৯২
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহ. (২৪১ হি.) গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বাবাকে হারান। মায়ের ছায়াতলেই কাটে তাঁর অনাথ শৈশব। মায়ের তরবিয়তে তিনি শৈশবেই অনন্য হয়ে ওঠেন। আবু সিরাজ বলেন, আমি আর আহমাদ একসঙ্গে মক্তবে পড়তাম। পাড়ার মহিলারা —যারা লিখতে জানত না— উস্তাযজীর কাছে সংবাদ পাঠাতেন, আমাদের চিঠির উত্তর লিখে দেয়ার জন্য আহমাদকে পাঠিয়ে দিন।
মহিলাদের কাছে গেলে আহমাদ তাদের দিকে চোখ তুলেও তাকাত না।
আমার আব্বু তার চালচলন ও আদব দেখে মুগ্ধ হয়ে বলতেন, আমি আমার ছেলের তরবিয়তের পেছনে এত এত খরচ করি, ভালো ভালো শিক্ষক আনি, তবুও তারা সফল হচ্ছে না। অথচ দেখো, এ এতীম ছেলেটার চালচলন কত সুন্দর!
— মানাকিবে আহমাদ রাহ., ইবনুল জাওযী, পৃ. ২৩
-মাওলানা হুযাইফা বিন জাফর
Leave a Reply