হায়াতের দিন ফুরোলে

হায়াতের দিন ফুরোলে

রাতে যখন সব কাজ সেরে বিছানায় যাই, তখন ভাবি সারাদিন কিভাবে কাটালাম।
পুরো সপ্তাহ কিংবা পুরো মাস। সব হিসেব নিকেশের ভীড়ে কিছুই খুজে পাইনা।

দিনগুলো দুনিয়াবি কাজ ও দৌড়ঝাপে,
রাতগুলো ঘুম কিংবা সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে ফিরে

এভাবে যখন পিছনের জীবনের দিকে তাকাই, তখন দেখি দুনিয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে আখেরাতের কোন অর্জন নেই।

অলস আড্ডায়, ফেসবুক স্ক্রলিং আর অযাচিত ভিডিও দেখা। কিভাবে যে সময় চলে গেল?

যখন নিজের অতীত রোমন্থন করি, আফসোস লাগে কিভাবে অতীতের সুন্দর সময়গুলো নষ্ট করেছি।
কিভাবে আরও সুন্দর করে সময়গুলোকে কাজে লাগানো যেত। কিভাবে অপচয় হওয়া সময়গুলোর সদ্বব্যবহার করা যেত।

কত কি শেখা যেত, যখন হিসেব করে দেখি প্রাপ্তির খাতায় জীবন অর্জন শুন্য! তখন নিজের প্রতি আক্রোশ জাগে, কত কি করা যেত.

এভাবেই সময়ের দোলাচলে রাত ও দিনের বিবর্তনে আমরা চলে যাব সমাপ্তির কিনারে।
শেষ হবে আমাদের সময়ের পথ চলা!

সেই অবধারিত, অনিবার্য ক্ষণটা চলে আসার আগে,
আমরা আরেকবার জীবনের পেছনে তাকাতে পারি।
নতুনভাবে করতে পারি অনেক হিশেব-নিকেষ।
সেই হিশেব-নিকেষের ঘটনায়,
আরিফ আজাদের লেখা ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’ বইটা আপনার বিশ্বস্ত
সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *