সন্তান জন্মদান ও পরবর্তি সুন্নত

১. সন্তান জন্মের পর তার ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া।
২. কোনো বুজুর্গ ব্যক্তির মাধ্যমে তাহনিক করিয়ে নেওয়া। অর্থাৎ খেজুর চিবিয়ে শিশুর মুখে দেওয়া এবং দোয়া করানো।
৩. সন্তান জন্মের সাত দিন পর তার জন্য উত্তম নাম রাখা।
৪. সপ্তম দিনে আকিকা করা। যদি সপ্তম দিন সম্ভব না হয়, তাহলে ২১ দিনের মাথায়ও করা যেতে পারে।
৫. জন্মের সপ্তম দিন বাচ্চার মাথা মুণ্ডন করা এবং চুল পরিমাণ রুপা বা তার সমমূল্য সদকা করা।
৬. মাথা মুণ্ডনের পর মাথায় জাফরান লাগিয়ে দেওয়া।
৭. ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে দুটি আর মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে একটি ছাগলের মাধ্যমে আকিকা করা।
৮. আকিকার গোশত পাকানো বা পাকানো ছাড়াই বণ্টন করা যাবে।
৯. আকিকার গোশত মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি কোনো ভেদাভেদ নেই। সকলেই খেতে পারবে।
১০. সন্তানের সাত বছর অতিবাহিত হলে তাকে নামাজ ও দ্বীনের অন্যান্য বিধি- বিধান শিক্ষা দেওয়া।
১১. যখন সন্তানের বয়স ১০ বছর অতিবাহিত হবে, তখন তাকে নামাজের জন্য কঠোর চাপ দেওয়া। এমনকি প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থা করা, যাতে সে নামাজে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
২৪ ঘণ্টা ঈমানের সাথে থাকার জন্য জরুরি যেসব বিষয়, আমরা চেষ্টা করেছি সংক্ষিপ্ত আকারে সেসব আলোচনা তুলে ধরতে । সংক্ষিপ্ত পরিসরে সেটা কতটুকু সম্ভব হয়েছে —তা পাঠকের কাছে।
বইটি একশ্রেণির পাঠকের জন্য সুবিধাজনক হবে বলে আশা করি । যত্রতত্র জরুরি বিষয়গুলো পৃষ্ঠা খুললেই দেখতে পারবে। বইটি কবলু হোক—এই কামনা।
নাম: ২৪ ঘণ্টার আমল
লেখক: হজরত মাওলানা শাহ হাকিম মোহাম্মদ আখতার ছাহেব রহ.
Leave a Reply