আল্লাহ ক্ষমা করার জন্য বাহানা তৈরি করেন

আল্লাহ ক্ষমা করার জন্য বাহানা তৈরি করেন

দেখুন, বান্দা যখন তওবা করে ফিরে অসে তখন আল্লাহ শুধু ক্ষমাই করেন না, বরং ক্ষমার জন্য বাহানা তৈরি করেন।

বনী ইসরাঈলের নিরানব্বই হত্যাকারীর ঘটনা অনেকেরই জানা। সে তওবা করে ফিরে এল এবং নেককারদের এলাকার দিকে রওয়ানা হল। পথিমধ্যে যখন তার মৃত্যুক্ষণ ঘনিয়ে এল তখন রহমত ও আযাবের ফিরিশতা এল এবং প্রত্যেকে তার জান কবয করতে চাইল। এক পর্যায়ে ফয়সালা হল, সে যদি নেককারদের এলাকার কাছাকাছি হয় রহমতের ফিরিশতারা তাকে নিয়ে যাবে, অন্যথায়…।

উক্ত ঘটনার যে দিকটি আমাদের আলোচ্য বিষয় তা হল-

فَأَوْحَى اللهُ إِلَى هَذِهِ أَنْ تَقَرّبِي، وَأَوْحَى اللهُ إِلَى هَذِهِ أَنْ تَبَاعَدِي، وَقَالَ: قِيسُوا مَا بَيْنَهُمَا، فَوُجِدَ إِلَى هَذِهِ أَقْرَبَ بِشِبْرٍ، فَغُفِرَ لَهُ.

আল্লাহ নেককার লোকদের ভূমিকে বললেন, তুমি নিকটবর্তী হও। আর অপর ভূমিকে বললেন, তুমি দূরবর্তী হও। তারপর যখন ভূমির দূরত্ব মাপা হল, দেখা গেল সে নেককারদের এলাকার দিকে এক বিঘত এগিয়ে রয়েছে। তখন তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হল (এবং রহমতের ফিরিশতা তার জান কবয করল)। (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪৭০)

একটু লক্ষ্য করুন, ঘটনার বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে, সে নেককারদের ভূমির দিকে এগিয়ে ছিল না। আল্লাহর আদেশে তা নিকটবর্তী হয়েছে। অর্থাৎ, সে যখন তওবা করে ফিরে এসেছে তো আল্লাহ তার ক্ষমার জন্য নিজ রহমতে বাহানা তৈরি করে দিয়েছেন! হাঁ, আল্লাহ এমনই গাফূরুর রাহীম। প্রয়োজন শুধু বান্দার একটু এগিয়ে আসা।

এ যেন ঐ হাদীসেরই একটি বাস্তব উদাহরণ, যে হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেছেন-

وَإِنْ تَقَرّبَ إِلَيّ بِشِبْرٍ تَقَرّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا…

বান্দা যদি আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসে আমি বান্দার দিকে এক হাত এগিয়ে আসি…। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৭৪০৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *