পরম অনুগ্রহ

প্রত্যেক মুমিনই এ কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে বান্দাদের জন্য ঈমান হলো দুনিয়ায় সর্বাপেক্ষা বড়ো নিয়ামত, পরম অনুগ্রহ।
আল্লাহ তা’আলা বলেন-
بَلِ اللَّهُ يَمُنُّ عَلَيْكُمْ أَنْ هَدَاكُمْ لِلْإِيمَانِ
“বরং আল্লাহ তা’আলাই তোমাদের ঈমানের পথ দেখিয়েই তোমাদের ধন্য করেছেন। “
আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রতি এই যে মহানিয়ামত দান করেছেন, পরম অনুগ্রহ করেছেন, এর শোকর আদায় করা এবং এর হক আদায় করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। কারণ, যে ব্যক্তি মানুষের অনুগ্রহের হক আদায় করে না, সে বড়োই অকৃতজ্ঞ।
আর সবচেয়ে বড়ো অকৃতজ্ঞতা হলো-মানুষের প্রতি আল্লাহ তা’আলার এ মহানিয়ামত ও অনুগ্রহের কথা ভুলে যাওয়া। এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আমরা কীভাবে এ নিয়ামতের হক আদায় করব? এর সহজ উত্তর হলো-আল্লাহ তা’আলা যখন আমাদের এ নিয়ামত দান করেছেন, তখন প্রকৃত ও পূর্ণ ঈমানদার হতে পারলেই আল্লাহর এ নিয়ামতের হক আদায় হবে। এ ছাড়া আমরা অন্য কোনো উপায়ে এ মহানিয়ামতের হক আদায় করতে পারব না।
এ কারণে আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে একান্ত মুমিনদেরই উদ্দেশ্য করে ঈমানের দাবিতে সত্যবাদী ও বলীয়ান হওয়ার বারংবার তাগিদ দিয়েছেন এবং কোনো কোনো আয়াতে তিনি এও বলেছেন যে, কেবল ঈমানের দাবিই দুনিয়া-আখিরাতে সাফল্যলাভের জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবারও প্রয়োজন রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا آمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي أَنْزَلَ
مِنْ قَبْلُ
“হে ঈমানদার ব্যক্তিরা! তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর ওপর, তাঁর রাসূলের ওপর, সেই কিতাবের ওপর, যা তিনি তাঁর রাসূলের ওপর নাযিল করেছেন এবং সেসব কিতাবের ওপর, যা তিনি ইতঃপূর্বে নাযিল করেছেন।”
বই : উসূলুল ঈমান (১ম খন্ড)
লেখক: ড. আহমদ আলী
Leave a Reply