সন্তানকে সচ্চরিত্র শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব

সন্তানকে সচ্চরিত্র শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব

যখন আল্লাহপাক কোনো মানুষকে সন্তানের মতো মহাদৌলত দান করেন, তখন ঐ সন্তানের শিক্ষা-দিক্ষা এবং উত্তমভাবে লালন-পালন করার দায়িত্বও পিতা-মাতর উপর আরোপিত হয়।

বাবা-মা সন্তানের দৈহিক এবং মানসিক উভয় দিকেরই মুরুব্বি। এজন্য বাবা-মা যেমনিভাবে সন্তানের শারিরিক সুস্থতার জন্য তার সকল প্রয়োজন পূরণ করা নিজেদের দায়িত্ব মনে করেন। যাতে তাদের সন্তান সু-স্বাস্থবান হয়। তেমনিভাবে সন্তানকে জ্ঞান এবং শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়াও বাবা-মায়ের দায়িত্ব।

যখন বাবা-মা সন্তানের উত্তম তরবিয়ত করবে, তখন শুধুমাত্র দৈহিক গঠনই বৃদ্ধি পাবেনা বরং সৃষ্টিগতভাবে যে সকল উত্তম স্বভাব ও চরিত্র তার মাঝে রয়েছে তা ধীরে ধীরে উন্মেচিত হতে থাকবে।

এজন্য জ্ঞাণীদের উক্তি হলো: যে ব্যক্তি সন্তানকে শিষ্টাচার শিক্ষা দিল সে শত্রুপক্ষকে অপদস্ত করল।
আরেকটি উক্তি শুনা যায় যে ব্যক্তি সন্তানকে শৈশবকালে শিষ্টাচার শিক্ষা দেয় সে সন্তান বড় হয়ে পিতা-মাতার চক্ষু শিতল করে দেয়।

কাজেই সন্তানকে শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার ব্যপারে পিতা-মাতার উদাসীন থাকা উচিত নয়।
কৃষক জমিতে ফসল বুনার পর যদি যত্ন না নেয় তাহলে কীট-পতঙ্গ এবং আগাছা জন্ম নিয়ে তার মূল পুজিই নষ্ট করে ফেলে।
সন্তান লালন পালনের বিষয়টিও অনুরূপ। অর্থাৎ পিতা-মাতা যখন সন্তানের মতো মহাদৌলতকে সঠিক ভাবে তরবিয়ত না করবে, তখন এই সন্তান নিজের আত্মপরিচয় ভুলে গিয়ে নিজের অস্বিত্বকে সংকটের মুখে ফেলবে।

বই: আদর্শ সন্তান গঠনে সোনালী নির্দেশনা
লেখক: মাওলানা যুলফিকার আহমদ নকশবন্দী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *