ভালো কথা বলা, নয়তো চুপ থাকা

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ
যে আল্লাহ এবং আখিরাতে বিশ্বাস রাখে সে যেন হয় ভালো কথা বলে নয়তো চুপ থাকে।
কথা বলতে হলে ভালো কথা বলতে হবে। উপকারী কথা। যে কথা দুনিয়ায় কাজে আসে আর আখিরাতেও কাজে আসে। যে কথায় দুনিয়ায় ক্ষতি হয় আর আখিরাতেও ক্ষতি হয়, এমন কথা আমরা যেন না বলি।
এটা ঈমানের দাবি।
এ হাদীছে ঈমানদারকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে- সে যেন ভালো কথা বলে, নয়তো চুপ থাকে। অর্থাৎ প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্যই হল ভালো কথা বলা, নয়তো চুপ থাকা।
ভালো কথা হল- কুরআন তিলাওয়াত, আল্লাহর যিক্র, সৎকাজের আদেশ, অসৎ কাজে নিষেধ, মানুষের মধ্যে মীমাংসা করা ইত্যাদি। মুমিনের কর্তব্য বাকশক্তি এসব কাজেই ব্যবহার করা।
বেঈমান ও ফাসেক লোক বাকশক্তি ব্যবহার করে অন্যায় কাজে।
মুমিনদের তা থেকে বিরত থাকা উচিত।
কুরআন মাজীদ বাকশক্তি কোন কাজে ব্যবহার করতে হবে তার হিদায়াত দিয়েছে-
لَا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِنْ نَّجُولُهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ
তাদের বহু কথা এমন, যাতে কোনও কল্যাণ নেই। তবে যে ব্যক্তি দান-সদাকা বা সৎ কাজের আদেশ করে অথবা মানুষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, তার কথা ভিন্ন।
আমরা প্রত্যেকেই চিন্তা করে দেখি, মুখ থেকে কেমন কথা বের হয়। মুখ তো আল্লাহর নিআমত।
আর কথা বলতে পারাও আল্লাহর নিআমত। যেমন দৃষ্টিশক্তি আল্লাহ তাআলার নিআমত।
বই:মুক্তি কোন পথে
লেখক: মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম
Leave a Reply