দাড়ি মুণ্ডনের ভয়াবহতা

ইকরিমাহ রহ. বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. কে বললাম, পাপী থেকে কিভাবে ঈমান দূর হয়ে যায়?
তিনি বললেন,
এভাবে-এই বলে নিজের এক হাতের আঙ্গুল আরেক হাতের আঙ্গুলের মাঝে প্রবেশ করিয়ে আবার বের করলেন। অতঃপর বান্দা যখন তাওবা করে ঈমান আবার এভাবে ফিরে আসে। এই বলে হাতের আঙ্গুলসমূহ আবার প্রবেশ করালেন।
এরকমভাবে পাপের কাজ শেষ করলে পাপ হওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে দাড়ি মুণ্ডন ও কর্তন এমনই এক পাপের কাজ যার পাপ সর্বদাই হতে থাকে। কেননা, শরীয়তের নির্দেশ মোতাবেক দাড়ি প্রত্যেক মু’মিনের মুখে সবসময়ের জন্যই হস্তক্ষেপবিহীন এবং সর্বদাই লম্বা রাখা ওয়াজিব। অতএব যখন সে শরীয়তের নির্দেশের ব্যতিক্রম করেছে। এ অবস্থায় সে তাওবা করে রাসূল এর নির্দেশ মোতাবেক দাড়ি লম্বা না রাখা পর্যন্ত এই পাপ কাজে লিপ্ত থাকবে।
দাড়ি কর্তনকারী সলাত আদায়, সিয়াম পালন, হজ্জ ও উমরা ইত্যাদি যাবতীয় ইবাদতের সময় এমনকি ঘুমানো, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির সময়ও পাপে লিপ্ত থাকে। সে পাপ করতে ইচ্ছে করুক বা না করুক দাড়ি কর্তন করা বিরতিহীন পাপ কাজের কারণ হওয়ায় সে সর্বদাই পাপে নিমজ্জিত থাকে।
দ্বিতীয়ত: এটা জানা কথা যে, দাড়ি কর্তিত চেহারা রাসূলকে রাগান্বিত করে। যখন দাড়ি কর্তনকারী কোন ব্যক্তি মারা যাবে এবং তাকে দাফন করা হবে তখন রাসূল এর রাগ উদ্রেগকারী চেহারা নিয়ে কিভাবে তাঁর সাথে কবরে সে সাক্ষাৎ করবে।
বই: দাড়ি বিধান ও মাসায়েল
লেখক: মুফতী আবুল কাশেম নুমানী হাফি
Leave a Reply