গুনাহ থেকে বাঁচব কীভাবে?

মনের ভেতর প্রশ্ন জাগতে পারে—গুনাহ থেকে কীভাবে বাঁচব?
চারদিকে ফিতনার সয়লাব বয়ে যাচ্ছে। পুরো জাতি যখন ফিতনার কড়ারগ্রাসে নিমজ্জিত, তখন আমি নিজেকে কীভাবে এ থেকে বাঁচিয়ে রাখব? চোখ, কান, হাতসহ যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কীভাবে গুনাহ থেকে হিফাজত করব?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে আমাদের যা করতে হবে, তা ঠিকভাবে করে যাওয়া বড্ড জটিল ও কঠিন। এটা মুখে বলা যতটুকু সহজ, সম্পন্ন করা তারচেয়ে কয়েক গুণ কঠিন।
এই কঠিন কাজ যেন আমরা সহজে করতে পারি—এজন্যই যুগে যুগে আমাদের কাছে দ্বীনের আহ্বান নিয়ে এসেছেন আলিম, সুফি এবং বুজুর্গরা।
কুরআন কারিমের নির্দেশও এমন— ‘তোমরা সৎলোকের সান্নিধ্য গ্রহণ করো, তাদের সাথে বেশি থেকে বেশি সময় কাটাতে চেষ্টা করো, দ্বীনের জন্য কষ্ট- মুজাহাদা করো, এতে তোমাদের জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হবে, নেকির কাজ করা সহজ হবে।”
সৎ লোকদের সাথে থেকে আমরা যখন এসব গুণ অর্জন করব, তখন আমাদের ভেতরটা বদলে যাবে। আমাদের ভেতর ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে, গুনাহের প্রতি ঘৃণা তৈরি হবে। ভালো কাজের এই আগ্রহ ও খারাপ কাজের প্রতি ঘৃণা কীভাবে তৈরি হবে?
এটা অর্জিত হয় আল্লাহওয়ালা বুজুর্গদের সংস্পর্শে, তাদের সান্নিধ্যে। এই ব্যাপারে কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে—
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, (অর্থাৎ গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো, যার পদ্ধতি হলো) এবং সৎ লোকদের সান্নিধ্যে থাকো।
ব্যাপারটা হচ্ছে এমন— যখন আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, শত চেষ্টার পরও তখন গুনাহে লিপ্ত হওয়া যায় না। হৃদয়ের ভেতর এমন নুর তৈরি হয়, যার ফলে গুনাহের কাছে যেতেও ভয় অনুভূত হয়। এরপর আল্লাহ নিজ কুদরতে তার হৃদয়কে গুনাহ থেকে ফিরিয়ে রাখেন।
বই : জান্নাতের সহজ পথ
লেখক: মাওলানা মুহাম্মাদ রফি ওসমানী সাহেব
Leave a Reply