আল্লাহর ভয়ের উপকারিতা

আল্লাহর ভয়ের উপকারিতা

আল্লাহর ভয় হলো সেই ব্যক্তি মতো, যে তার ঘরে অবস্থান করে।

এখন সেই ঘর ততক্ষণ পর্যন্ত আবাদ থাকবে, যতক্ষণ ঘরের মালিক ঘরে থাকবে। মালিক চলে গেলে তা পরিণত হবে বিরান ঘরে।

শরীরের জন্য আল্লাহর ভয় ঘরের জন্য ঘরের মালিকের মতো। আল্লাহর ভয় যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ শরীর আবাদ থাকবে। দেহ থেকে আল্লাহর ভয় বিদায় নিলেই তা পরিণত হবে বিরান দেহে।

এমনকি অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই এমন ব্যক্তি যখন কোনো মজলিস অতিক্রম করে, তখন তাকে নিয়ে মানুষ বলাবলি করে, “অমুক লোক খুবই খারাপ।” জিজ্ঞেস করা হয়, “কেন, সে কী করেছে?” উত্তর আসে, “কিছু করেনি, এমনিতেই তাকে আমাদের পছন্দ হয় না।”

আবার যার অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে, তার ব্যাপারে মানুষ বলে, “এই লোকটা খুবই ভালো।” জিজ্ঞেস করা হয়, “সে এমন কী ভালো কাজ করেছে?” উত্তর আসে, “কিছুই করেনি, তবে আমরা তাকে পছন্দ করি।”

ফুদাইল ইবনু ইয়াদ বলতেন, ‘মানুষের শরীর যতদিন সুস্থ থাকে, ততদিন আল্লাহর নিকট আশা করার তুলনায় তাঁকে ভয় করা বেশি উত্তম।

আর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে ভয়ের চেয়ে আশাই বেশি উত্তম।

আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, ‘এক ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে। আরেকজন যুদ্ধের ময়দানে শহীদ হয়েছে। এই দুইজনের মধ্যে কে উত্তম?’ তিনি বলেছেন, ‘যার অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে, সে আমার কাছে বেশি উত্তম।

বই : জাহান্নামের ভয়াবহতা
লেখক: ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহ.)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *