সফলতার কান্না

সফলতার কান্না

একটি সিক্রেট বলি—

এটা খুব বেদনাদায়ক একটা ব্যাপার। আমেরিকার মাঝবয়সি উচ্চপদস্থ নারীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেকের কোনো সন্তান

২০০১-এর জানুয়ারি মাসে আমেরিকার উচ্চ উপার্জনকারী নারীদের নিয়ে দেশব্যাপী একটা জরিপ করা হয়। এতে দেখা গেছে যে, ৪০ থেকে ৫৫ বছর বয়সি উচ্চ-উপার্জনকারী নারীদের মধ্যে ৩৩% নিঃসন্তান এবং কর্পোরেট নারীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২%।

এসব নারীরা কি ইচ্ছা করেই সন্তানহীন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? মোটেই না, বরং ঠিক তার উলটো। এদের মধ্যে বেশিরভাগই একটিমাত্র সন্তানের জন্য পৃথিবীর সব কষ্ট সইতে রাজি। এই উদ্দেশ্যে তারা হাজার হাজার ডলার এবং অঢেল সময় ব্যায় করেছেন, নিজেদের শরীরকে অপমানজনক সব মেডিক্যাল চিকিৎসার সম্মুখীন করেছেন, বারবার করছেন। এমনকি এসব করতে গিয়ে নিজেদের সাধের ক্যারিয়ারের ক্ষতি হলেও তারা পিছপা হননি।

অথচ এতসবের ফলে তারা কী পেয়েছেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লবডঙ্কা।

কারণ, মেডিক্যাল সাইন্স যতই উন্নতি করুক না কেন, ৪০ বছর বয়সের পর সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি মাত্র ৩-৫% ক্ষেত্রে সফল হয়। এত টাকা, এত পরিশ্রম- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সব জলে যায়।

আজকের উচ্চপদস্থ নারীদের জন্য গর্ভধারণের মতো এমন একটা স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক, আদিম প্রক্রিয়া এত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন?

এখন তো আমরা আমাদের নানি-দাদিদের তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষিত, বেশি উপার্জন করি, তাদের তুলনায় আমাদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ অনেক বেশি। তার ওপর আমাদের গড় আয়ু বাড়ছে, তা ছাড়াও গর্ভধারণের এমন সব নতুন রাস্তা আমাদের জন্য খোলা হয়েছে—যা আগের যুগে কল্পনা করা যেত না।

বই :সফলতার কান্না
লেখক: সিলভিয়া অ্যান হিউলেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *