শূন্যতায় পূর্ণতা পাওয়ার দুয়া।

শূন্যতায় পূর্ণতা পাওয়ার দুয়া

দেশ ছেড়ে পথে পথে ঘুরছেন নবি মুসা আ.। না আছে খাবার, না আছে মাথা গুঁজবার ঠাঁই। নিজ দেশ ছেড়ে পারি দিয়েছেন অনেক দূর। আশ্রয় নিয়েছেন অচেনা এক দেশে। না আছে সঙ্গী, না আছে আগলে নেবার মতো প্রিয়জন।

খিদা পেয়েছে খুব! কী খাবেন? খাবারও বা পাবেন কোথায়? না কাউকে চিনেন, না আছে অর্থ যা দিয়ে কিছু কিনবেন। মনের অজান্তেই পারি দিয়েছেন দীর্ঘপথ! অদূরে একটি কূপ দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে থামেন। পানি দেখে পিপাসিত মনের তৃষ্ণাটাও যেন বেড়ে যায়। দেরি না করে এক আঁজলা পানি পান করে আশ্রয় নিলেন গাছের ছায়ায়।

এতটুকু পানি পেয়েই যেন তিনি তৃপ্ত। গাছের ছায়া যেন রব’ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা বাড়িয়ে দিলো আরও বহুগুণে।
এক আঁজলা পানি আর একটুখানি বৃক্ষের ছায়া পেয়েই নবি মূসা আ. রব এর প্রতি কৃতজ্ঞতায় উৎফুল্ল হয়ে বলতে লাগলেন—

رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ

হে রব! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবেন, আমি তারই মুখাপেক্ষী।”

তাফসিরে মাআরিফুল কুরআনে একটি বর্ণনা এসেছে যে, ইতিপূর্বে তিনি সাত দিনের অভুক্ত ছিলেন। তারপরও রব’ এর অনুগ্রহের প্রতি এত কৃতজ্ঞতা! সুবহানাল্লাহ! আমাদের অবস্থা অবলোকনে এমন ঘটনা শুনে অবাক না হয়ে উপায় আছে কি?

খাওয়ার মতো কিছু নেই। না আছে মাথা গুঁজবার ঠাই। তারপরও রব এর প্রতি এত কৃতজ্ঞতা! আল্লাহ তায়ালার এ শোকর ভীষণ পছন্দ হলো। আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবির জন্য পাঠিয়ে দিলেন রহমতের পয়গাম।

বই :কুরআনিক নসিহা
লেখক: আদিব সালেহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *