আমাদের অধঃপতন!

সাহাবায়ে কেরাম কুরআন তিলাওয়াত করেছেন, আমরাও কুরআন তিলাওয়াত করি। কিন্তু সাহাবায়ে কেরামের ন্যায় আমরাও কেন প্রভাবিত হই না কুরআন দ্বারা?
কেন তাঁদের মতো অঝোরে অশ্রু ঝরে না আমাদের চোখ থেকে? আমাদের হৃদয় ও মন কেন কুরআনের পরশে দ্রবীভূত হয় না?
কেন ভাস্বর হয় না আমাদের অন্ধকার হৃদয় কুরআনের শক্তিময় রশ্মিতে? আমরা যখন কুরআন পড়ি, তখন কেন আমাদের মস্তিষ্ক এলোমেলো হয়ে যায়? বিক্ষিপ্ত হয়ে যায় চিন্তার জগৎ? আর কেনই-বা সন্দেহ আর সংশয়ের জটিলতায় আটকে পড়ি আমরা?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা আছে আপনার? আমি দিচ্ছি আপনাকে এগুলোর সহজ উত্তর। তা হচ্ছে—
সাহাবায়ে কেরাম যখন কুরআন তিলাওয়াত করতেন, তনুমন নিবিষ্ট করে তিলাওয়াত করতেন। তাঁরা যখন কুরআন শ্রবণ করতেন, দিলের কান দিয়ে শ্রবণ করতেন। এই বৈশিষ্ট্য আমাদের মাঝে নেই। আর তাঁদের নিয়ত ছিল শতভাগ বিশুদ্ধ ও খাঁটি; যা আমাদের মাঝে একদমই নেই।
সাহাবায়ে কেরাম আন্তরিকতা ও শ্রদ্ধা, ভয় ও আশা নিয়ে তাৎক্ষণিক আমলে বাস্তবায়নের পূর্ণ মানসিকতা নিয়ে কুরআন শ্রবণ করতেন। মহান রবের বাণীগুলো তাঁরা যথাযথ বুঝতেন ও উপলব্ধি করতেন। তাঁরা মেনে চলতেন এই আয়াতটি।
যেখানে আল্লাহ বলেন—
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ
مِنْ أَمْرِهِمْ
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা দিলে সে বিষয়ে কোনো মুমিন পুরুষ বা নারীর ভিন্নমতের অধিকার থাকবে না।
-সুরা আহজাব : ৩৬
বই :অনুসরণীয় তারা
লেখক: ড. ইয়াদ কুনাইবি
Leave a Reply