লাস্যময়ী কোনো নারীর ফাঁদ

কয়েক রিল সুতো পেঁচিয়ে গেলো। দুঃসাধ্য হয়ে উঠল জট খোলা। কিন্তু একটা সময় পর ঠিকই জট খোলা সম্ভব হলো। প্রশান্তি নেমে এলো মনে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে জট ছাড়ানোর কষ্টকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া হলো। ব্যস, শেষ।
দুর্বল ইয়ারফোনের তার পেঁচিয়ে গেলো। প্রচণ্ড খারাপ হলো মেজাজ। টেনেটুনে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করল ইয়ারফোন। কিন্তু একটু পর মনকে শান্ত করে প্যাঁচ খুলে ফেলা সম্ভব হলো। হালকা মনে হলো নিজেকে। হাসি খেলে গেলো ঠোঁটের কোণে।
শত্রুর ফাঁদে পা দিলো কেউ। মহা বিপদে পড়ে গেলো লোকটা। কী করবে, না করবে; তার কোনো দিশা পেলো না। হুট করে বুদ্ধি খেলে গেলো মাথায়। মুহূর্তেই নিস্তার পেলো শত্রুর পাতা ফাঁদ থেকে। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করল রবের। দিল খুলে বলল— আলহামদুলিল্লাহ!
কিন্তু… কেউ যদি লাস্যময়ী কোনো নারীর ফাঁদে পা দেয়, যদি নারীর ফিতনায় পড়ে যায়, যদি নদীর মতো বেঁকে চলা নারীর জালে কেউ একবার আটকা পড়ে, তাহলে তার রক্ষে নেই।
জট খুলবে, ফিতনার সমাপ্তি ঘটবে, জাল থেকে বেরিয়ে সামান্য দীর্ঘশ্বাস ছাড়বে—সে সুযোগ তার হবে না। কারণ, নারীর এই ফাঁদ ইয়ারফোন বা সুতোর জট লাগার মতো কিছু নয়, তার এই ফাঁদ কোনো শত্রুর পাতা জাল নয়; বরং তার এই ফাঁদ শয়তানের প্ররোচনায় গড়ে ওঠা স্বভাবজাত একটা গুপ্ত কৌশল;
যা একজন পুরুষকে নাস্তানাবুদ করে দিতে পারে, যা একটি সমাজকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম, যা একটি দেশকে ধূলিসাৎ করে দিতে যথেষ্ট। এজন্য তাদের সাথে এক সমাজে দিনাতিপাত করতে হলে পুলসিরাত পার হওয়ার মতো সাবধানে চলতে হয়। প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় অত্যন্ত সন্তর্পণে। একবার পা পিছলে পড়ে গেলে খেল খতম— তার মাশুল দিতে হবে সারা জীবন।
বই :ফিতনাতুন নিসা
লেখক: মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
Leave a Reply