ঈমানের গুরুত্ব

ঈমান হলো আল্লাহ তা’আলা ও মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক।
ঈমান ছাড়া প্রতিটি মানুষই মূল্যহীন। মানুষ হিসেবে মানুষের প্রকৃত মূল্য, সম্মান বা মর্যাদা হয় ঈমানের ভিত্তিতে। যার ঈমান যত মজবুত আল্লাহর কাছে সে তত প্রিয়।
আমরা সবাই জানি যে, মুমিনরাতো সাধারণত আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখেই—
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেন-
“আর মুমিনরা প্রত্যেকেই আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে।
কিন্তু তার পরেও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা মুমিনদেরকে উদ্দেশ্যই করেই বলেছেন—
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ঈমান আনো।’
সুতরাং, বুঝা যাচ্ছে মুমিনদেরকে পূর্ণরূপে ঈমান আনতে বলার অর্থই হলো—জেনে বুঝে, ঈমান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে পূর্ণরূপে ঈমান আনা।
এজন্যই ‘ঈমান শিক্ষা’ এত গুরুত্বপূর্ণ। আর যারা এভাবে জেনে বুঝে পূর্ণরূপে ঈমান আনবে ও সৎকাজ করবে, আখিরাতে কেবল তারাই হবে প্রকৃত সফলকাম।
আল্লাহ বলেন—
“আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই হবে জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে।”
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—
مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ
“যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস নিয়ে মারা যাবে, ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ বা ইবাদাত পাওয়ার উপযুক্ত কেউ নেই’—সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
সুতরাং কোনো অমুসলিম বা মুসলিম নামধারী ব্যক্তি, যে এভাবে এক আল্লাহকে বিশ্বাস করে না—সে কখনো পরকালের চিরস্থায়ী নাজাত বা কুরআনের ভাষায় চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে পারবে না। কেননা, পরকালে নাজাত বা মুক্তির জন্য ‘ঈমান’ পূর্বশর্ত।
বই: ঈমান শিক্ষা
লেখক: ইমাম বাইহাকি
Leave a Reply