গুপ্তধনের খোঁজে

নাসির উদ্দিন হোজ্জা একবার ল্যাম্পপোস্টের নিচে খুব মনোযোগ দিয়ে কী যেন খুঁজছিল।
তাকে খুঁজতে দেখে আরো কিছু মানুষও খুঁজতে শুরু করল। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর লোকজন হোজ্জাকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি আসলে কী খুঁজছ?”
হোজ্জা বলল, “গুপ্তধন।”
“তাই নাকি? গুপ্তধন?” অবাক হয়ে সবাই আরো সিরিয়াসলি মনোযোগ দিলো। কিন্তু অনেক খোঁজার পর কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে হোজ্জাকে বলল, “আচ্ছা হোজ্জা, বলো তো তুমি ওটা কোথায় হারিয়েছিলে?”
হোজ্জা বলল, “ওই দূরে অন্ধকারে হারিয়েছি।” সবাই অবাক হয়ে বলল, “তাহলে এখানে কেন খুঁজছ?”
হোজ্জা বলল, “ওখানে তো আলো নেই। অন্ধকারে কিছু খোঁজা যায় না। তাই আলোতে খুঁজছি।”
এই ছোট্ট গল্পটা কী দারুণভাবে আমাদের জীবনের সাথে মিলে যায় না?
অন্ধকারটা হচ্ছে আমাদের ভেতরের আমি। গুপ্তধন হলো হ্যাপিনেস বা সুখ। আর ল্যাম্পপোস্টের আলোটা হচ্ছে বস্তুবাদী পৃথিবীর চাকচিক্য বা তথাকথিত সফলতা।
আপনি কি সফলতার আলোতে হ্যাপিনেসকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন? কিন্তু ওখানে তো সে নেই। হ্যাপিনেস আপনার নিজের ভেতরেই। সুখ নামের গুপ্তধন কিন্তু আপনার কাছেই।
আপনি নিজেই হ্যাপিনেস কারেন্সি তৈরি করতে পারেন। আপনার সুখ একমাত্র আপনিই তৈরি করতে পারেন, আর কেউ না।
কিন্তু ভেতরটা জুড়ে রাজ্যের অন্ধকার ঝেঁকে বসায় খুঁজে পাচ্ছেন না সুখের অফুরন্ত ভান্ডার।
বই :সুখের সমীকরণ
লেখক: মুহাম্মদ ইলিয়াস কাঞ্চন
Leave a Reply