একজন মুসলিম স্বামীর জন্য।

আপনার স্ত্রীর সাথে সুন্দর আচরণ করুন। রূঢ়, কঠোর এবং নিষ্ঠুর হবেন না।
স্ত্রীর সাথে পরামর্শ না করে জোরপূর্বক আপনার ইচ্ছা ও সিদ্ধান্তগুলোকে তার ওপর চাপিয়ে দেবেন না। তার কষ্ট এবং অনুভূতিকেও বিবেচনা করুন। কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা নিয়ে পরস্পরে পরামর্শ করুন এবং স্ত্রীর সাথে সর্বদা হাসিখুশি থাকুন।
আপনার স্ত্রীকে অন্য আরেকটা মানুষের পরিবর্তে কোনো দাসী মনে করবেন না। তার সাথে সহানুভূতি বা নম্রতা প্রদর্শন ব্যতীত ক্রোধান্বিত হয়ে খারাপ আচরণ করবেন না। কেননা বিদায় হজের ভাষণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের মধ্যে আচরণের ভিত্তি স্থাপন করে দিয়েছেন। সেখানে তিনি স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পরে উত্তম আচরণের আদেশ করেছিলেন। সহিহ মুসলিমের বর্ণনায়,
জাফর ইবনু মুহাম্মাদ রাহিমাহুল্লাহ থেকে তার পিতার সূত্রে থেকে বর্ণিত:
কুরায়শগণ নিঃসন্দেহ ছিল যে, নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাশআরুল হারামের কাছে অবস্থান করবেন, যেমন জাহিলি যুগে কুরায়শগণ করতো। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সামনে অগ্রসর হলেন, তারপরে আরাফায় পৌঁছলেন এবং দেখতে পেলেন নামিরায় তাঁর জন্য তাঁবু খাটানো হয়েছে। তিনি এখানে অবতরণ করলেন। অতঃপর যখন সূর্য ঢলে পড়ল, তখন তিনি তাঁর কাসওয়া (নামক উজ্জ্বী)-কে প্রস্তুত করার নির্দেশ দিলেন। তার পিঠে হাওদা লাগানো হলো। তখন তিনি বাতনে ওয়াদিতে এলেন এবং লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন,
সুদির্ঘ ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি বললেন
“তোমরা স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা তাদের আল্লাহর আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালিমার মাধ্যমে তাদের লজ্জাস্থান নিজেদের জন্য হালাল করেছ।
তাদের ওপরে তোমাদের অধিকার এই যে, তারা যেন তোমাদের শয্যায় এমন কোনো লোককে আশ্রয় না দেয় যাকে তোমরা অপছন্দ করো। যদি তারা এরূপ করে, তবে হালকাভাবে প্রহার করো। আর তোমাদের ওপর তাদের ন্যায়সংগত ভরণপোষণের ও পোশাক- পরিচ্ছদের হক রয়েছে।”
-সহিহ মুসলিম: ২৮৪০
Leave a Reply