ইসলাম ও ঈমানের পার্থক্য কি?

আমরা অনেকেই মুসলিম সমাজে বসবাস করে মুসলিমদের নামে নাম রেখে ভাবি যে, ‘আমরাই পরিপূর্ণ মুমিন। আর মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়ার মানেই হয়তো মুমিন হওয়া।
দু’টি হয়তো একই বিষয়।’
কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। মূলত উভয়ের মাঝে রয়েছে অনেক পার্থক্য।
একজন মুসলিম প্রকাশ্যে তার ইসলামের ঘোষণা দিলেই তাকে মুসলিম সমাজ একজন মুসলিম হিসেবে গণনা করবে। কিন্তু সে যদি ঈমানের বিষয়গুলির ওপর সঠিকভাবে বিশ্বাস পোষণ না করে, তাহলে আল্লাহর নিকট সে পরিপূর্ণ মুমিন নয়।
তাই বলা যায়—‘প্রত্যেক মুমিনই একজন মুসলিম, কিন্তু প্রত্যেক মুসলিম মুমিন নয়’। কারণ, মুসলিম মানে, সে কেবলমাত্র আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বীন ইসলামে দাখিল হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু দাখিল হতে হলে যে বিশ্বাস ও চেতনাকে ধারণ করতে হয়, তা এখনো করেনি।
এ কথার সমর্থনে কুরআনুল কারিমের একটি আয়াত উল্লেখযোগ্য, মহান
আল্লাহ বলেন— قَالَتِ الْأَعْرَابُ امَنَّا قُل لَّمْ تُؤْمِنُواْ وَلَكِن قُولُوا أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُل الْإِيمَن فِي قُلُوبِكُمْ
“বেদুইনরা বলল, আমরা ঈমান আনলাম। [তাদেরকে] বলুন, তোমরা ঈমান আনোনি বরং তোমরা বলো, ‘আমরা মাত্র ইসলাম গ্রহণ করলাম’, কেননা এখনো পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি।
সুতরাং—মুসলিম নাম, পোশাক, বেশভূষা গ্রহণ করলেই বা কিছু ইসলামী রীতি-রেওয়াজ মেনে চললেই একজন মানুষ মুমিন হতে পারে না। বরং, মুমিন হওয়ার জন্য চাই ঈমানের সকল স্তম্ভের ওপর সমানভাবে বিশ্বাস করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা।
Leave a Reply