গোপনে কুফরি আকীদা পোষণকারীর প্রতি হুঁশিয়ারি

গোপনে কুফরি আকীদা পোষণকারীর প্রতি হুঁশিয়ারি

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَّ یُعَذِّبَ الْمُنٰفِقِیْنَ وَ الْمُنٰفِقٰتِ وَ الْمُشْرِكِیْنَ وَ الْمُشْرِكٰتِ الظَّآنِّیْنَ بِاللّٰهِ ظَنَّ السَّوْءِ ؕ عَلَیْهِمْ دَآىِٕرَةُ السَّوْءِ ۚ وَ غَضِبَ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ وَ لَعَنَهُمْ وَ اَعَدَّ لَهُمْ جَهَنَّمَ ؕ وَ سَآءَتْ مَصِیْرًا

যেন সেই মুনাফেক পুরুষ ও মুনাফেক নারী এবং মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারীদেরকে শাস্তি দান করেন, যারা আল্লাহ সম্পর্কে কু-ধারণা পোষণ করে। মন্দের কুফল তাদেরই উপর আপতিত এবং আল্লাহ তাদের প্রতি রুষ্ট, তিনি তাদেরকে নিজ রহমত থেকে বিতাড়িত করেছেন এবং তাদের জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত করেছেন। আর তা অতি মন্দ ঠিকানা। -সূরা ফাতহ (৪৮) : ০৬

আল্লাহ তাআলার কাছে ঈমান গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য এবং আখেরাতে এর সুফল পাওয়ার জন্য ইসলামকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করা জরুরি। কাফের মুশরিক যেমন সুস্পষ্টভাবে ইসলাম গ্রহণ না করার কারণে অভিশপ্ত, আখেরাতে সে জাহান্নামী, তাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে, ঠিক মুনাফিকও মন থেকে ইসলাম গ্রহণ না করার কারণে কাফের মুশরিকদের মতোই।

সেও তাদের মতো কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হবে। যদিও সে প্রকাশ্যে ইসলামের ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু তার এ ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়। সে তো বরং কাফেরের চেয়েও নিকৃষ্ট এবং আল্লাহর কাছে বেশি ঘৃণিত। কারণ সে কুফরকে ঈমানের সঙ্গে মিশ্রণ করে ফেলেছে। (দ্র. তাফসীরে বায়যাবী ১/৭৭)

আজ আমাদের সমাজে একশ্রেণির মানুষ রয়েছে, যারা জন্মগত মুসলমান। প্রকাশ্যে নিজেকে মুসলমান হিসেবে প্রচার করে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ইসলাম নামক বৃক্ষের গোড়া কাটে। যারা ইসলামের ক্ষতি সাধনে ব্যস্ত তাদের সঙ্গে সখ্য রাখে।

এশ্রেণির ব্যাপারেও যথেষ্ট আশংকা রয়েছে যে, তারা মুনাফিক কি না? আল্লাহ তাদেরকে সুমতি দান করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকেও খাঁটি মুমিন হিসেবে কবুল করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *