ইসলামী সমাজের বৈশিষ্ট্য

ইসলামী সমাজ-ব্যবস্থার একটি মৌলিক অনুষঙ্গ পরস্পর প্রীতি ও সৌহার্দ্য। এজন্য গোটা মুসলিম জাতিকে হাদীস শরীফে এক দেহের মতো বলা হয়েছে, যার একটি অঙ্গ রোগাক্রান্ত হলে গোটা দেহ আরাম-নিদ্রা ত্যাগ করে।
ইসলামী সমাজের আরেক বৈশিষ্ট্য পরস্পর সহযোগিতা, একে অন্যের সেবা ও প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসা। যে আল্লাহর কোনো বান্দার প্রয়োজন পূরণে ব্যস্ত থাকে হাদীস শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী স্বয়ং আল্লাহ ঐ বান্দার প্রয়োজন পূরণে মশগুল থাকেন।
ইসলামী সমাজের আরেক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বড়কে মান্য করা। অনেক হাদীসে বড়কে মান্য করার, শ্রদ্ধা ও সম্মান করার তাকীদ এসেছে। এমনকি যে বড়কে সম্মান করে না এবং ছোটকে স্নেহ করে না, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে- ‘সে আমাদের নয়’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারিত করেছেন।
ইসলামী সমাজের আরেক বৈশিষ্ট্য, তার পরিবার-ব্যবস্থা ও পারিবারিক আদব-আখলাক। ইসলামে মা-বাবার সেবা ও সদাচারের যে তাকীদ রয়েছে, এই সেবা ও সদাচারকে যে অনন্য মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তা কার না জানা আছে? মা-বাবার প্রতি উদাসীন হয়ে কেউ তো ভালো ঈমানদারও হতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَ قَضٰی رَبُّكَ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ وَ بِالْوَالِدَیْنِ اِحْسَانًا اِمَّا یَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ اَحَدُهُمَاۤ اَوْ كِلٰهُمَا فَلَا تَقُلْ لَّهُمَاۤ اُفٍّ وَّ لَا تَنْهَرْهُمَا وَ قُلْ لَّهُمَا قَوْلًا كَرِیْمًا وَ اخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَ قُلْ رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّیٰنِیْ صَغِیْرًا.
তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন, তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত না করতে ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে উফ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না; তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বলো। মমতাবশে তাদের সামনে নিজেকে বিনয়াবনত কর এবং বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।’ -সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ২৩-২৪
Leave a Reply