নেবুলাইজার ব্যবহার করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে কি?

আমাদের কাছে পরিস্কার যে, নেবুলাইজারের মাধ্যমে মূলত শ্বাষকষ্ট দূরীকরণের ওষুধ তরল বা বাষ্প আকারে ভিতরে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে।
আর রোযা রাখা অবস্থায় খাদ্যনালীতে বাহির থেকে নিরেট বাতাস ছাড়া কিছু প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়।
সেই হিসেবে নেবুলাইজারের মাধ্যমে ওষুদ পৌছালেও রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এক্ষেত্রে রোগীর যদি নেবুলাইজার ছাড়া থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে রোযাটি ভেঙ্গে যাবার পর, রমজান মাস চলে যাবার পর সামর্থ হলে রোযাটি কাযা করে নিবে। যদি তাতেও সামর্থ না থাকে, তাহলে প্রতিটি রোযার জন্য একটি করে ফিদিয়া আদায় করবে। ফিদিয়া হল, দুইজন মিসকিনকে দুইবেলা খানা খাইয়ে দেয়া। যার পরিমাণ পৌনে দুই সের গম। বা এর সমমূল্য। যা সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা।
আর যদি ওষুধ ছাড়া নেবুলাইজার দিয়ে শুধু বাতাস প্রবেশ করায়, তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে না। কিন্তু সাধারণতঃ এমন করা হয় না বলেই আমরা জানি।
أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [٢:١٨٤]
গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে,অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। [বাকারা-১৮৪]
والله اعلم بالصواب
Leave a Reply