এক পরার্থপরায়ন, এক পরবিমুখ

এক পরার্থপরায়ন, এক পরবিমুখ

মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের পর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাজির ও আনসার ছাহাবীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করে দিয়েছিলেন।

সুন্দর শৃংখলার জন্য মুহাজির ও আনসারের কে কার সাথে বসবাস করবেন সেটাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। আবদুর রহমান বিন আউফের ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেছিলেন আনসারী সাহাবী সা‘দ বিন রবীর সাথে।

তিনি আবদুর রহমান বিন আউফকে ঘরে নিয়ে গেলেন। এরপর তাকে সম্বোধন করে বললেন,
ভাই আবদুর রহমান! আজ থেকে আমার অর্ধেক সম্পদের মালিক তুমি। আর শোনো, আমার দুজন স্ত্রী রয়েছে। তোমার যাকে পছন্দ হয় বল, আমি তাকে তালাক দিয়ে দিব। ইদ্দত শেষ হলে তুমি তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে।

আবদুর রহমান বিন আউফ রা. জবাবে বললেন, ভাই সা‘দ! আল্লাহ পাক তোমার সম্পদ ও পরিবারে বরকত দান করুন। তোমার সবকিছু তোমার কাছেই থাক। আমাকে শুধু বাজারের রাস্তাটা দেখিয়ে দাও। আমি ব্যবসা করতে চাই।

সা‘দ বিন রবী রা. তাকে বনু কায়নুকার বাজার দেখিয়ে দিলেন। তিনি সেখানে গিয়ে বেচা-কেনা শুরু করলেন। প্রথম দিনই কিছু টাকা লাভ হল। তা দিয়ে তিনি খাওয়ার জন্য কিছু ঘি ও মাখন কিনে আনলেন।

এভাবে তার ব্যবসায় দিন দিন উন্নতি হতে লাগল। নিজ হাতের উপার্জনের মাধ্যমেই তিনি আস্তে আস্তে সচ্ছল হয়ে উঠলেন। এরপর এক আনসারী নারীর সাথে তার বিবাহ হল।

সহীহ বুখারী, হাদীস ৫১৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৩৮৬৩; মুসনাদে আবদ ইবনে হুমাইদ, হাদীস ১৩৩৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *