মুসলিম বাবা।

মুসলিম বাবা।

বাবা হিসাবে আমরা সাধারণত যে দায়িত্বটুকু পালনের চেষ্টা করে থাকি সেটা হল সন্তানের জাগতিক উন্নতির চেষ্টা।

সন্তান যেন শিক্ষা-দীক্ষা অর্জন করে, আয়-উপার্জন করে, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়, জীবনটা সুখে-স্বাচ্ছন্দে কাটাতে পারে, সন্তানের জন্য এসব চিন্তা আমরা করি।

এই চিন্তার সবটা দোষের নয়, চিন্তাটা যদি এভাবে হয় যে, আমার সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক, তার চরিত্র ও মানবিকতা বিকশিত হোক, হালাল উপার্জনের যোগ্যতা অর্জন করুক তাহলে সেটাই হয় মুসলিম সুলভ চিন্তা।

আমাদের শুধু বাবা হলে চলবে না, মুসলিম বাবা হতে হবে।

এখানেই সাধারণত বড় ভুলটি হয়ে যাচ্ছে। সন্তানের উন্নতির চিন্তা করা হয়, কিন্তু কোন্ উন্নতি? শুধু বৈষয়িক উন্নতি? না চিন্তা-চেতনা ও মানবিকতারও উন্নতি, আয়-উপার্জনের চিন্তা করা হয়, কিন্তু কোন্ আয়-উপার্জন? হালাল আয়-উপার্জন, না যে কোনো প্রকারের আয়-উপার্জন? সন্তান খেয়ে-পরে বেঁচে থাকুক।

কিন্তু কী খেয়ে? কী পরে? হালাল খেয়ে-পরে, না হারাম খেয়ে-পরে? এই বিষয়টাও একজন বাবাকে চিন্তা করতে হবে। তার বড় চিন্তা সন্তানের দ্বীনদারি, ঈমানদারিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *