প্রশান্ত হৃদয় চাই!

যিকরুল্লাহর মাধ্যমে একজন মানুষ প্রশান্ত হৃদয়ের অধিকারী হতে পারে। অন্য কোনো মাধ্যম বা মেথডের প্রয়োজন নেই।
কারণ, যিকরুল্লাহ ছাড়া শত চেষ্টা-প্রচেষ্টা দ্বারা কোনো লাভ আশা করা যায় না। আখেরাতের সফলতা ও সুখ তো নয়ই, পার্থিব সুখ, সফলতা ও শান্তিও এভাবে মিলবে না।
হযরত ইউনুস আ. যখন তিন তিনটি অন্ধকারে নিমজ্জিত; রাতের অন্ধকার, সমুদ্র তলদেশের অন্ধকার এবং মাছের পেটের অন্ধকার।
বাঁচার কোনো পথ যখন তিনি দেখছিলেন না, তখন একমাত্র আল্লাহ্র যিকির ও স্মরণকেই তিনি নিজের প্রশান্তির মাধ্যম বানিয়েছেন এবং বলতে শুরু করেছেন- ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্তি কুনতু মিনায যলিমীন’।
হযরত মূসা আ. বনী ইসরাঈলকে নিয়ে যখন চলে যাচ্ছিলেন তখন কঠিন এক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছিলেন। পেছনে অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত ফেরাউনের বাহিনী, সামনে সাগর। বাঁচার কোনো উপায় নেই। কিন্তু মূসা আ. এই কঠিন মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করলেন। বললেন, আমার পালনকর্তা আমায় পথ দেখাবেন। ঠিক তাই হল। তিনি প্রশান্ত মনে সকলকে নিয়ে পার হয়ে গেলেন। আর ফেরাউন তার দলবল নিয়ে নিমজ্জিত হল সাগরে।
ইবনে তাইমিয়াহ রাহ. অধিক পরিমাণে যিকিরের কারণে এতটাই প্রশান্ত হদয়ের অধিকারী ছিলেন যে, তিনি জেলে থেকে বলতেন, ‘আমার শত্রুরা আমার সাথে কী আর করবে? যদি তারা আমাকে মৃত্যুদ- দেয় তাহলে আমি শহীদ। আর যদি আমাকে বন্দী করে রাখে তাহলে আমি লেখালেখি ও ইবাদতের জন্য নিরিবিলি সময় পাবো। আর যদি দেশান্তরিত করে তাহলে দেশ ভ্রমণের সুযোগ পাবো।’
তাই প্রশান্ত হৃদয়ের জন্য যিকরুল্লাহর বা আল্লাহ্র জিকিরের কোনও বিকল্প নাই।
আল্লাহ সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করিন!
Leave a Reply