বিবাহের ক্ষেত্রে ইসতেখারার নিয়ম

বিবাহের ক্ষেত্রে ইসতেখারার নিয়ম

যে কোনো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এলে শরীয়ত প্রথমে ইসতেখারা করতে বলে।

বিবাহও জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ফলে এক্ষেত্রেও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসতেখারা করতে বলেছেন।

প্রিয় সাহাবী আবু আইয়ূব আনসারী রা.-কে তার বিবাহের বিষয়ে কীভাবে ইসতেখারা করবে তা শিখিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন- প্রথমে তোমার প্রস্তাব গোপন রাখো, অতপর উওমরূপে অযু কর এবং যে কয় রাকাত সম্ভব নামায পড়, অতপর আল্লাহর প্রশংসা করে বল-

اللّهُمّ إِنّكَ تَقْدِرُ وَلَا أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلَا أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلّامُ الْغُيُوبِ، فَإِنْ رَأَيْتَ فِيَ فُلَانَةَ – وَتُسَمِّيهَا بِاسْمِهَا – خَيْرًا لِي فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَآخِرَتِي فَاقْدُرْهَا لِي، وَإِنْ كَانَ غَيْرُهَا خَيْرًا لِي مِنْهَا فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَآخِرَتِي فَاقْضِ لِي ذَلِكَ.

হে আল্লাহ! আপনি সক্ষম আমি অক্ষম। আপনি জানেন আমি জানি না। আপনি গায়েব তথা অদৃশ্য বিষয়ে সম্যক অবগত; আপনি যদি অমুককে (পাত্রীর নাম নিবে) আমার দ্বীন-দুনিয়া এবং আখেরাতের ক্ষেত্রে কল্যাণকর মনে করেন তাহলে তাকে আমার জন্য সহজ করে দিন। আর যদি তার থেকে অন্য কেউ আমার দ্বীন-দুনিয়া ও আখেরাতের ক্ষেত্রে কল্যাণকর হয় তাহলে আমার জন্য তাই ফয়সালা করুন। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৪০৪০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৫৯৬

এ বর্ণনায় দুআটি এ ভাষায়ই এসেছে। তবে প্রসিদ্ধ হল-

اللّهُمّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ…

যা সহীহ বুখারীসহ হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে রয়েছে।

সামান্য ভাবলেই বুঝা যায় যে, বিবাহের ক্ষেত্রে দ্বীনদারী ও আখেরাতের কল্যাণকে কী পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

দ্বীন-দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সহায়ক ও মঙ্গলজনক হলে আল্লাহ তুমি সহজ কর, অন্যথায় নয়। অর্থাৎ দ্বীন-দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সহায়ক ও মঙ্গলজনক হলে অগ্রসর হওয়া, অন্যথায় নয়।

খুবই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন নীতি ও নির্দেশনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *