আসমানে তার জন্য জান্নাতের ঘোষণা হতে থাকে।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি বড় সুন্নত হচ্ছে ইয়াদাতুল মারীয।
কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখতে যাওয়া, তার খোঁজ-খবর নেওয়া, হালপুরসী করা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে ইসলামের পরিভাষায় বলা হয় ইয়াদাতুল মারীয। এটি এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের একটি হক। হাদীস শরীফে এর অনেক ফযীলত বিবৃত হয়েছে।
ইয়াদাতুল মারীযের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমত ও সন্তুষ্টি লাভ হয়। দিল নরম হয়। আখেরাতের কথা স্মরণ হয়। নেক আমলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এমনকি খোদ এ আমলের মাধ্যমেই অনেক সওয়াব হাছিল হয়। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক সুন্দর হয়। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় হয়। অসুস্থ ব্যক্তি প্রবোধ লাভ করে। তার সুস্থতা ত্বরান্বিত হয়।
যিনি এ আমলে এগিয়ে আসেন ফেরেশতাগণ তার জন্য রহমত ও মাগফিরাতের দুআ করতে থাকেন। আসমানে তার জন্য জান্নাতের ঘোষণা হতে থাকে। যতক্ষণ সে রোগীর সেবায় ব্যস্ত থাকে ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমতের বেষ্টনীতে থাকে। আল্লাহর দৃষ্টিতে সে জান্নাতের বাগানে বিচরণ করতে থাকে।
সর্বোপরি হাদীস শরীফের ভাষ্য অনুযায়ী রোগীর সেবা যেন আল্লাহরই সেবা। তাই মুসলিম মাত্রেরই কর্তব্য হচ্ছে মহিমান্বিত এ আমলের প্রতি যত্নবান হওয়া।
Leave a Reply