শুধু কি তাই?

সন্তানের জন্য মায়ের চেয়ে দরদী এই ভুবনে আর কেউ নেই।
অনেক সময় মা-ও সন্তানের অবাধ্যতা, উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দু-এক বেলা তার খাবার বন্ধ করে দেন।
কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলা? কী মেহেরবান তিনি বান্দা নাফরমানির পর নাফরমানি করার পরও তার খাবার বন্ধ করে দেন না, চোখের গুনাহের কারণে চোখ অন্ধ করে দেন না, হাত দিয়ে অন্যায় কাজ করায় হাতকে অবশ বা পঙ্গু করে দেন না। বান্দার জন্য আলো, বাতাস, পানি সবকিছুই তিনি চালু রাখেন।
শুধু কি তাই?
দুনিয়ায় এমন অনেক বান্দা আছে, যারা তার সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে পর্যন্ত অস্বীকার করে। কী সীমাহীন দয়ার সাগর সেই রব্বুল আলামীন। দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট, ঘৃণিত ও পাপিষ্ঠ লোকের প্রতিও দয়াবানের দয়ার কথা চিন্তা করলে নিজ মস্তক সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। যে বান্দা তার রবের অস্তিত্বকে অস্বীকার করছে তিনি তারও খাবারের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। কী বিশাল উদারতা আর মহানুভবতা!
এর কি কোনো সীমা-পরিসীমা আছে? কেবল অস্বীকার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সর্বশক্তিমান মালিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিচ্ছে এমন নরাধমের প্রতিও দয়ালু দাতার অনুগ্রহ ও কৃপার কোনো কমতি নেই। এমন সীমাহীন দয়ালু প্রভুর হুকুমকে কি অমান্য করা যায়? কোনো মানুষের পক্ষে কি তা সম্ভব?
সেই পরম দয়ালু দাতার অপরিসীম এহসান আর মেহেরবানির প্রতিদান কি আমাদের এই সীমাহীন নাফরমানি? ন্যূনতম বিবেক আর বোধশক্তি আছে এমন মানুষ কি কখনও এত বড় অকৃতজ্ঞ হতে পারে? এটা যে নিরতিশয় নিন্দনীয়Ñ তা ন্যূনতম বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরও অজানা নয়। কোন্ জিনিস আমাকে এভাবে অন্ধ আর বধির করে রাখল তা কি একবারও আমি ভেবে দেখেছি?
Leave a Reply